গাজা যুদ্ধে ব্যর্থতা: যুদ্ধমন্ত্রী হল নেতানিয়াহুর বলির পাঠা
(last modified Wed, 06 Nov 2024 04:08:08 GMT )
নভেম্বর ০৬, ২০২৪ ১০:০৮ Asia/Dhaka
  • নেতানিয়াহু (মাঝে) ও গ্যালান্ট (সর্ববাঁয়ে)
    নেতানিয়াহু (মাঝে) ও গ্যালান্ট (সর্ববাঁয়ে)

গাজা উপত্যকা ও লেবানন যুদ্ধে মারাত্মক ব্যর্থতার জের ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গতরাতে (মঙ্গলবার রাতে) ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক আকস্মিক ঘোষণায় বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটযকে গ্যালান্টের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। গাজা উপত্যকায় গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান গণহত্যা অভিযানের ব্যাপারে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট এ পর্যন্ত বহুবার বাকযুদ্ধ লিপ্ত হয়েছেন।

গ্যালান্ট গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে পণবন্দিদের ছাড়িয়ে আনার পক্ষে থাকলেও নেতানিয়াহু তার বিরোধিতা করেন এবং এ নিয়েই দু’জনের মধ্যে মূল বিতণ্ডার সূত্রপাত হয়।

মঙ্গলবার রাতে গ্যালান্টকে বরখাস্ত করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরতির পক্ষে থাকায় তারা গ্যালান্টকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। যুদ্ধের মাঝপথে যুদ্ধমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা তেল আবিবের প্রধান মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়ে বড় ধরনের আগুন জ্বালিয়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে ‘উন্মাদনা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু নিজে ‘রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকার ঘৃণ্য’ প্রচেষ্টা চালাতে গিয়ে ইসরাইলের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তুলেছেন।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির সুযোগ হাতছাড়া করায় এ পর্যন্ত গ্যালান্ট একাধিকবার প্রকাশ্যে নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছেন। এর জবাব কঠোরভাবে দিলেন যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু তার ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিচ্ছেন না বলে ইসরাইলের ভেতরেই তীব্র সমালোচনা হচ্ছে এবং গ্যালান্ট ছিলেন সে সমালোচকদের একজন।

মঙ্গলবার রাতে নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সামরিক অভিযান পরিচালনার বিষয়ে গ্যালান্ট এবং আমার মধ্যে গুরুতর মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। তার মতামত ও গৃহীত পদক্ষেপগুলো ছিল সরকার ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিপরীত। আমি এই দূরত্ব দূর করার জন্য বারবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু দূরত্ব কেবল বৃদ্ধিই পেয়েছে। এই ব্যাপারটা এমনকি জনগণ পর্যন্ত পৌঁছেছে, খুব বাজেভাবেই পৌঁছেছে। আরও খারাপ ব্যাপার হলো, আমাদের শত্রুরা তা জানতে পেরেছে, তারা এর সুযোগ নিয়েছে এবং এতে খুশি হয়েছে।”#

পার্সটুডে/এমএমআই/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ