বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবাও কেড়ে নিচ্ছে ইহুদিবাদীরা
গাজা উপত্যকার আরেকটি হাসপাতাল অকেজো করে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা
বিশ্ব মানবতার শত্রু ইসরাইলি সেনারা ভয়াবহ হামলা চালিয়ে গাজা উপত্যকার আরেকটি হাসপাতালকে অকেজো করে দিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, উত্তর গাজার ‘ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল’ এখন আর কোনো রোগী বা আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম নয়।
গত পরশু (শুক্রবার) উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া শহরে অবস্থিত হাসপাতালটি ঘিরে ফেলে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। এ সময় হাসপাতালটিতে শত শত রোগী ও আহত ব্যক্তির সেবাদান চলছিল এবং হাসপাতালটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরো শত শত ছিন্নমূল মানুষ। কিন্তু ইসরাইলি সেনারা তাদের সবাইকে হাসপাতালটি থেকে অস্ত্রের মুখে বের করে দেয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইহুদিবাদী সেনারা আশ-শিফা হাসপাতাল ধ্বংস করে দেয়ার পর উত্তর গাজায় যে তিনটি বৃহৎ হাসপাতাল অবশিষ্ট ছিল সেই কামাল আদওয়ান, বেইত হানুন ও ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল এখন সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়েছে। ইহুদিবাদী সেনারা সর্বশেষ গতকাল (শনিবার) বেইত হানুন হাসপাতাল খালি করে দেয়ার নির্দেশ দেয়ার পর হাসপাতালটি ত্যাগ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অসহায় গাজাবাসী ফিলিস্তিনিরা।
গাজা থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজার জাবালিয়া শহরে অবস্থিত আল-আওদা হাসপাতালও খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। তারা বলেছে, হাসপাতালটি ত্যাগ না করলে এর ভেতরে থাকা সবাইকেসহ এটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হবে। বর্তমানে সেখানে ৩৬ জন রোগী ও ৬৫ জন চিকিৎসাকর্মী রয়েছেন।
এর আগে গত সপ্তাহে কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে এটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে দখলদার সেনারা। আগুন দেয়ার আগে তারা বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৫০ জনকে হত্যা করে এবং পরে বাকিদের জোরপূর্বক সেখান থেকে বের করে দেয়।
ইসরাইলি বাহিনী এমন সময় গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলো একের পর এক ধ্বংস করে দিচ্ছে যখন বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানের তুলনায় এই উপত্যকার মানুষের বেশি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন। #
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ৫