হিরমান্দ নদীর পানি ও শরণার্থী সংকট সমাধান করুন: তালেবান প্রধানমন্ত্রীকে আরাকচি
https://parstoday.ir/bn/news/event-i146366-হিরমান্দ_নদীর_পানি_ও_শরণার্থী_সংকট_সমাধান_করুন_তালেবান_প্রধানমন্ত্রীকে_আরাকচি
আফগানিস্তান সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং ইরানে অবস্থানরত আফগান শরণার্থীদের নিয়ে কাবুলের সঙ্গে তেহরানের সৃষ্ট মতপার্থক্য নিরসন করতে হবে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ২৭, ২০২৫ ০৯:৫৫ Asia/Dhaka
  • আরাকচি ও মোল্লা মোহাম্মাদ হাসান আখুন্দ (ডানে)
    আরাকচি ও মোল্লা মোহাম্মাদ হাসান আখুন্দ (ডানে)

আফগানিস্তান সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং ইরানে অবস্থানরত আফগান শরণার্থীদের নিয়ে কাবুলের সঙ্গে তেহরানের সৃষ্ট মতপার্থক্য নিরসন করতে হবে।

তিনি গতকাল (রোববার) কাবুলে আফগানিস্তানের তালেবান প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মাদ হাসান আখুন্দের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান।

আরাকচি বলেন, দু’দেশের মধ্যে প্রবাহিত অভিন্ন নদী হিরমান্দের পানি বণ্টনের বিষয়ে অতীতে স্বাক্ষরিত চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। ইরান কখনও আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেনি বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইরানে বসবাসকারী আফগান শরণার্থী ও হিরমান্দ নদীর পানি নিয়ে মতবিরোধের নিরসন এমনভাবে করতে হবে যাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা শক্তিশালী করার ক্ষেত্র তৈরি হয়। তিনি সম্মানের সঙ্গে সকল অবৈধ আফগান শরণার্থীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, তার দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করছে।

সাক্ষাতে ‘ভ্রাতৃপ্রতীম দুই মুসলিম’ প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তালেবান প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে দু’দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পরস্পরের দেশ সফরের মাত্রা বাড়ানো উচিত।

কাবুলের পশ্চিমে অবস্থিত হিন্দুকুশ পর্বতমালায় আফগানিস্তানের দীর্ঘতম নদী হিরমান্দের উৎপত্তি। নদীটি আফগানিস্তানের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের হামুন জলাভূমিতে এসে পড়েছে। হামুন জলাভূমির কৃষিকাজ হিরমান্দ নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ওই নদী থেকে ইরান সামান্যই পানি পাচ্ছে।

হিরমান্দ নদীর পানি নিয়ে এক শতাব্দিরও বেশি সময় ধরে বিতর্কের পর ১৯৭৩ সালে দু’দেশ এটির পানি-বণ্টনের ব্যাপারে একটি চুক্তি সই করেছিল যা এখনও কার্যকর রয়েছে। কিন্তু আফগান সরকার ওই চুক্তি অনুযায়ী বছরে ৮২০ মিলিয়ন কিউসেক পানি ইরানকে দিচ্ছে না।

হামুন জলাশয়ের পানির ওপর নির্ভরশীল ইরানের বিশাল এক জনগোষ্ঠী পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। নদীটির উপর বাঁধ নির্মাণ করে এর পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আফগান সরকার। এ ব্যাপারে ইরানের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হলেও তালেবান সরকার হিরমান্দ নদীর পানির স্বল্পতার জন্য অনাবৃষ্টি ও কারিগরি ত্রুটির অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে।#

 পার্সটুডে/এমএমআই/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।