ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আরবদের কঠোর অবস্থান
ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হবে: আরব দেশগুলোর হুঁশিয়ারি
গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদেরকে এই উপত্যকা থেকে বিতাড়িত করার যে পরিকল্পনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্থাপন করেছেন প্রভাবশালী আরব দেশগুলো তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
মিশর, জর্দান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ ও আরব লীগ গতকাল (শনিবার) এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
মিশরের রাজধানী কায়রোয় আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলা হয়, তারা গাজা উপত্যকা কিংবা জর্দান নদীর পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়ার সম্পূর্ণ বিরোধী।
আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার যেকোনো প্রচেষ্টা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন করবে, সংঘাতের বিস্তার ঘটাবে এবং পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও পারস্পরিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট হবে।
কায়রো বৈঠক থেকে অবিলম্বে গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের মানবিক দুর্দশা লাঘব এবং এই উপত্যকার পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করতে এগিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ উভয়ে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে বলেছিলেন, যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এটি আর বসবাসের উপযোগী নেই। কাজেই এটিকে বসবাসের উপযোগী তৈরি করার স্বার্থে গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদেরকে মিশর ও জর্দানে সরিয়ে নেয়া উচিত।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি পাশবিক হামলায় প্রায় ৪৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। এছাড়া ইহুদিবাদী সেনাদের ভয়াবহ বোমাবর্ষণে গাজার ৯০ শতাংশ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজাবাসী বলছেন, তাদের উপত্যকার পুনঃনির্মাণ জরুরি তবে সেজন্য তারা তাদের আবাসভূমি ত্যাগ করবেন না। #
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/২