ছত্তিসগড়ে যৌথ অভিযানে ৩১ মাওবাদী নিহত, গুলিতে নিরাপত্তাবাহিনীর দুই সদস্যের মৃত্যু
(last modified Sun, 09 Feb 2025 10:55:36 GMT )
ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫ ১৬:৫৫ Asia/Dhaka
  • ছত্তিসগড়ে যৌথ অভিযানে ৩১ মাওবাদী নিহত, গুলিতে নিরাপত্তাবাহিনীর দুই সদস্যের মৃত্যু

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের বিজাপুর জেলার একটি জঙ্গলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ মাওবাদী নিহত হয়েছে। এই সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই সদস্যও প্রাণ হারিয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে একই এলাকায় যৌথ বাহিনীর ‘এনকাউন্টারে’ আট মাওবাদীর নিহত হয়েছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তথ্য জানিয়েছে, প্রথমে নিহত মাওবাদীদের সংখ্যা ১২ জন বলা হলেও, পরে ছত্তিশগড়ের বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) পি সুন্দররাজ নিশ্চিত করেন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।

বস্তার রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজি) পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, ‘সংঘর্ষে জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) দুই জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুই জওয়ান আহত হয়েছেন।’

তিনি জানানন, ঘটনাস্থল থেকে অটোমেটিক রাইফেল-সহ উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্র এবং বিস্ফোরক। আজ নিয়ে চলতি বছরে ছত্তিশগড়ে মোট ৮১ জন মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। বিজাপুরসহ বস্তার ডিভিশনেই (বিজাপুর-সহ সাতটি জেলা) ৬৫ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানে অভিযানে রাজ্য পুলিশের ডিআরজি ও এসটিএফের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) ও তাদের বিশেষ কমান্ডো ইউনিট কোবরা (কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রিসলিউট অ্যাকশন) অংশ নেয়।

গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান। পাশাপাশি, মাওবাদী গেরিলাদের মূল স্রোতে শামিল হওয়ার জন্য চলছে ধারাবাহিক প্রচার অভিযান। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদী নেতা-নেত্রীরা।#

পার্সটুডে/এমএআর/৯