এক্স পোস্ট আবার শেয়ার করল সর্বোচ্চ নেতার দপ্তর
ইউক্রেন পরিস্থিতির ব্যাপারে ৩ বছর আগে সতর্ক করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল হওয়ার ব্যাপারে বিশ্বের দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তিন বছর আগে মন্তব্য করেছিলেন তা নতুন করে শেয়ার করেছে সর্বোচ্চ নেতার দপ্তর।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির তীব্র বাক-বিতণ্ডার খবর বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার পর শনিবার সর্বোচ্চ নেতার দপ্তর তাঁর সেই সতর্কবাণী শেয়ার করে। এতে ইউক্রেন পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য আবারও বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ওয়েবসাইট ঠিক তিন বছর আগে তাঁর পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি এক্স বার্তা গতকাল (শনিবার) আবার পোস্ট করে। ওই পোস্টটিতে বলা হয়েছিল, “ইউক্রেন ইস্যু থেকে প্রধান যে শিক্ষাটি গ্রহণ করা যেতে পারে তা হচ্ছে, যেসব তাবেদার দেশ ও সরকার পশ্চিমা শক্তিগুলোর ওপর নির্ভর করে তাদের এই নির্ভরতা মরীচিকা সমতুল্য। বিশ্বের সব দেশের সরকারের বিষয়টি উপলব্ধি করা দরকার। যেসব সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ওপর নির্ভর করে তাদের উচিত ইউক্রেনের সর্বসাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করা।”
রাশিয়া ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ২০২২ সালের ১ মার্চ আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর হুবহু এই মন্তব্যটি তার দপ্তরের এক্স পেজে প্রকাশিত হয়েছিল।
গত তিন বছর ধরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন রাশিয়া বিরোধী যুদ্ধে ইউক্রেনকে সর্বাত্মক সামরিক ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। আমেরিকার সাহায্য নিয়ে ইউক্রেন যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল, তখন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং উল্টো এতদিনের প্রদত্ত সাহায্য ফেরতে দেয়ার জন্য কিয়েভের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজে ডেকে নিয়ে জেলেনস্কিকে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায় হিসেবে বর্ণনা করেন ট্রাম্প। এর ফলে ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয় এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সব ধরনের কূটনৈতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে বিদায় না নিয়েই হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে যান। #
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ২