গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করল ইসরাইল
(last modified Sun, 02 Mar 2025 11:17:08 GMT )
মার্চ ০২, ২০২৫ ১৭:১৭ Asia/Dhaka
  • গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করল ইসরাইল

ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। প্রথম দফার এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ গতকাল (শনিবার) শেষ হয়েছে।

আজ (রোববার) ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবিত সাময়িক যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণের প্রস্তাব এখনও গ্রহণ করেনি হামাস। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ সকাল থেকেই গাজায় সমস্ত পণ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। হামাস যদি তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করে, তাহলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ইসরাইল সরকার আরও বলেছে, পবিত্র রমজান মাস এবং ইহুদিদের পাসওভার উৎসব উপলক্ষে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে সমর্থন করে তারা। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের তরফে এ প্রস্তাব এসেছে।

প্রস্তাবে হামাসকে তাদের কাছে থাকা বন্দিদের অর্ধেককে বর্ধিত মেয়াদে যুদ্ধবিরতি শুরুর প্রথম দিনই এবং অবশিষ্টদের স্থায়ী যুদ্ধিবিরতিতে পৌঁছানোর পর মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।  

এদিকে, ইসরাইলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, ‘গাজায় ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোরতর লঙ্ঘন।’

দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হওয়ার ব্যাপারে ইসরাইল ও হামাস এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি হলে গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে নিজেদের কাছে থাকা অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি দেবে হামাস।#

পার্সটুডে/এমএআর/২