‘মানবিক ত্রাণ দয়া নয়, অধিকার’
গাজায় ত্রাণ বন্ধ করে দেয়ার ইসরাইলি পদক্ষেপ অত্যন্ত উদ্বেগজনক: জাতিসংঘ
-
গাজা শহরে মানবিক ত্রাণ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ট্রাক ও ট্যাঙ্কারগুলো খালি ফিরে এসেছে
ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ।
এই বিশ্ব সংস্থার জরুরি ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী টম ফ্লেচার সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত এক পোস্টে ওই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “আন্তর্জাতিক আইন একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, গাজা উপত্যকায় অবশ্যই মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে।”
জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি ত্রাণ সংস্থা ও একাধিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং একটি অমানবিক কাজ।
নরওয়ের ত্রাণ সংস্থা এনআরসি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গাজার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ যুদ্ধে ক্লান্ত এবং তারা আগে থেকেই দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত ছিল। এ অবস্থায় আবার তাদের খাবার আটকে দিলে সেখানে চরম মানবিক সংকট দেখা দেবে। এনআরসিরি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাঞ্জেলিটা ক্যারেডা বলেছেন, “মানবিক ত্রাণ কোনো দয়া নয়- এটি একটি অধিকার।”
এর আগে গতকাল (রোববার) গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইহুদিবাদী ইসরাইল। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ৪২ দিন ধরে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। প্রথম দফার এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে।
রোববার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় কার্যকর করার জন্য তেল আবিবের দাবি মনে না নেয়া পর্যন্ত গাজায় সমস্ত পণ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। হামাস যদি তার অবস্থান পরিবর্তন না করে, তাহলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/৩