পারমাণবিক ইস্যু
পশ্চিমাদের অকার্যকর চাপের নীতি বিপরীত ফল বয়ে আনবে: ইরানের আইএইএ 'র প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-তে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তেহরানের উপর একতরফাভাবে পারমাণবিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য চাপ প্রয়োগের পশ্চিমা কৌশল কেবল অকার্যকরই নয় বরং এতে বিপরীত ফল বয়ে আনবে।
আইএইএ'র বোর্ড অফ গভর্নরসের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহসেন নাজিরি তেহরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকায় নিন্দা প্রস্তাব এবং ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মিথ্যা দাবির উপর ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে কথা বলেছেন।
তিনি জেসিপিওএ নামে পরিচিত পরমাণু সমঝোতার অধীনে প্রতিশ্রুতি পালনে পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যর্থতার উপর জোর দেন যা ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের সাথে শুরু হয়েছিল এবং বাকি ইউরোপীয় স্বাক্ষরকারী দেশগুলো - ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেন – ওয়াশিংটনের বেরিয়ে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট ক্ষতিপূরণ দিতে অক্ষমতার কারণে ব্যর্থতার মাত্রা আরও তীব্রতর হয়েছিল।
নাজিরি বলেন, ইরানের পক্ষ থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি কমানোর সিদ্ধান্ত এ সমঝোতা পত্র লঙ্ঘনের সরাসরি প্রতিক্রিয়া যা জেসিপিওএ'র ২৬ এবং ৩৬ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চুক্তির আওতায় অন্যান্য পক্ষ তাদের বাধ্যবাধকতা পালনে ব্যর্থ হলে ইরানের পাল্টা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার এতে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন যে পারমাণবিক চুক্তির অধীনে ইরানের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থাগুলো কেবল তখনই পরিত্যাগ করা হবে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চুক্তির তিনটি ইউরোপীয় পক্ষের নিষেধাজ্ঞাগুল কার্যকর এবং প্রমাণ সাপেক্ষে প্রত্যাহার করা হয়। নাজিরি বলেন, অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে যে কিছু পক্ষের দ্বারা অনুসৃত সর্বোচ্চ চাপের নীতি কেবল অকার্যকরই নয় বরং এতে বিপরীত ফলও বয়ে আনে।#
পার্সটুডে/এমবিএ/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।