এ পর্যন্ত শহীদ ২৩০ জন
মার্কিন সবুজ সংকেত পেয়ে ফের গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরু: হামাসের প্রতিক্রিয়া
ইহুদিবাদী ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত পেয়ে আবারও গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন শুরুর পর এ পর্যন্ত ২৩০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ৩৫০ জন আহত হয়েছে।
ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী এই অপরাধযজ্ঞ হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু এবং নারী।
গাজা উপত্যকার কোনও এলাকা নতুন করে এসব হামলা থেকে বাদ যায়নি এবং ইসরাইল আবাসিক বাড়ি, স্কুল, শরণার্থী শিবির এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের তাঁবুগুলোকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, হামলার আগে ইসরাইল ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করেছিল।
এ প্রসঙ্গে, ইসরাইলি দৈনিক মা'আরিভ জানিয়েছে, ইসরাইল আমেরিকান নাগরিকত্বধারী জিম্মিদের বেছে বেছে মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরাইল মার্কিন সরকারকে এটাও জানিয়েছে যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শেষ হয়ে গেছে।
দৈনিকটি আরও জানিয়েছে: ইসরাইলি নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার সময় নির্ধারণের ক্ষমতা দিয়েছে।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন সংবাদ সূত্রে জানা গেছে ইসরাইল গাজার উপর পুনরায় হামলা শুরু করেছে।
নেতানিয়াহুর দফতর থেকে দাবি করা হয়েছে যে হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইসরাইল তাদের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করেছে।
ওদিকে, গাজা উপত্যকায় নতুন করে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সতর্ক করে দিয়ে বলেছে এই নৃশংস আগ্রাসনের পরিণতির জন্য নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলের নাৎসি সরকার দায়ী থাকবে। হামাস জোর দিয়ে বলেছে: নেতানিয়াহু এবং তার সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজার যুদ্ধবন্দীদের জন্য অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ব্যাপারে ইসরাইল সরকার এবং নেতানিয়াহুকে জবাবদিহি করতে মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একইসাথে তারা ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে জরুরি বৈঠক ডাকার জন্য জাতিসংঘ এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিও আহ্বানের আহ্বান জানিয়েছে।#
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।