এসআইআরের কাজের চাপে রিঙ্কু'র আত্মহত্যা
এভাবে আর কত জীবন নষ্ট হবে? নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় মমতার সমালোচনা
-
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
আজ (শনিবার) শনিবার এক্স হ্যান্ডল পোস্টে তিনি লিখেছেন ‘এসআইআরের চাপে এভাবে আর কত জীবন নষ্ট হবে? আর কত মৃতদেহ গুনতে হবে? বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার হয়ে উঠছে।’
এসআইআরের কাজ নিয়ে জটিলতা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষের জন্য কার্যত চাপ দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। অথচ পরিকাঠামোতে রয়েছে হাজার রকমের ত্রুটি। ফলে খুব দ্রুত কাজ শেষ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। আর এই পাহাড়সম চাপের কাছে হার মেনে কোনও কোনও বিএলও নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার পথে হেঁটেছেন। সুইসাইড নোটে তাঁরা সেই কারণও লিখেছেন। আর ধারাবাহিকভাবে এসব ঘটনার জেরে এবার নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা এক্স পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগরের চাপড়ার ২০১ নং বুথের বিএলও, পার্শ্বশিক্ষিকা রিঙ্কু তরফদারের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এসআইআরের কাজে চাপের কথা তিনি লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোটে।’
শনিবার সকালে রিঙ্কু তরফদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ি থেকে। তিনি চাপা বাঙালঝি স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের সহকারী শিক্ষিকা। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি দীর্ঘ সুইসাইড নোট নোটে রিঙ্কুদেবী লিখেছেন, “আমি বাঁচতে চাই। আমার সংসারে কোনও অভাব নেই। কিন্তু এই সামান্য চাকরির জন্য এরা আমাকে এভাবে এসআইয়ের কাজের চারেপর মাধ্যমে মরতে বাধ্য করল।' সেইসঙ্গে নোটে তিনি পরিবারের সদস্যদের এসআইআরের কাজ কীভাবে হবে, তাও জানিয়ে গিয়েছেন। সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে কাজের চাপের কথা লিখেছেন কর্তব্যরত ওই বিএলও। একইসঙ্গে তাঁর কর্তব্যনিষ্ঠার প্রতিফলনও রয়েছে চিঠিতে। এসব জেনেই কমিশনকে তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, আর কত মৃত্যু দেখতে হবে?#
পার্সটুডে/জিএআর/২২