নতুন হামলা হলে ইরানের জবাব হবে আরও 'সিদ্ধান্তমূলক ও ধ্বংসাত্মক': সেনাপ্রধান
https://parstoday.ir/bn/news/event-i154552-নতুন_হামলা_হলে_ইরানের_জবাব_হবে_আরও_'সিদ্ধান্তমূলক_ও_ধ্বংসাত্মক'_সেনাপ্রধান
ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দেশের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকির ক্ষেত্রে ইরান সিদ্ধান্তমূলক ও ধ্বংসাত্মক জবাব দিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষা কৌশল সক্রিয় প্রতিরোধের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
(last modified 2025-11-29T14:40:34+00:00 )
নভেম্বর ২৯, ২০২৫ ২০:২৮ Asia/Dhaka
  • বক্তব্য রাখছেন মেজর জেনারেল আমির হাতামি
    বক্তব্য রাখছেন মেজর জেনারেল আমির হাতামি

ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দেশের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকির ক্ষেত্রে ইরান সিদ্ধান্তমূলক ও ধ্বংসাত্মক জবাব দিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষা কৌশল সক্রিয় প্রতিরোধের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

নৌবাহিনীর বহরে নতুন ডেস্ট্রয়ার ‘সাহান্দ’ এবং ‘কুর্দিস্তান’ যুক্ত করার অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল আমির হাতামি বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা কৌশল সক্রিয় প্রতিরক্ষা ও স্মার্ট প্রতিরোধের ওপর ভিত্তি করে। এর অর্থ হলো আমরা শত্রুর আক্রমণের অপেক্ষা করি না। আমাদের জাতীয় স্বার্থ যেখানে হুমকিগ্রস্ত হবে, সেখানেই যেকোনো সিদ্ধান্তমূলক এবং ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া জানাতে আমরা প্রস্তুত।”

ইরান–ইরাক যুদ্ধের সময় নৌবাহিনীর ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ইরানের শক্তি শুধু নিজ দেশের জন্য নয় বরং পুরো অঞ্চলের জন্যই নিরাপত্তার উৎস। অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হচ্ছে- তা নষ্ট করছে।

মেজর জেনারেল আমির হাতামি বলেন, “আজকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও দেশগুলোর নিরাপত্তার মধ্যে আলাদা করে দেখা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর প্রায় পাঁচ দশকের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে যে, আঞ্চলিক নিরাপত্তায় ইরানের ভূমিকা 'গঠনমূলক ও অপরিহার্য'।

আমির হাতামি উল্লেখ করেন- গত দুই বছরের ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কোন্‌ দেশগুলো অঞ্চলের নিরাপত্তা বিনষ্ট করছে। এ ব্যাপারে কোনো নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের মনে সন্দেহ থাকার কথা নয়।

১৩ জুন ইহুদিবাদী ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে একটি অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করে, যেখানে বহু উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধে যোগ দেয় এবং জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) লঙ্ঘন করে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।

এর জবাবে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত অঞ্চলের বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনা এবং ওয়েস্ট এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। ২৪ জুন, ইরান ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সফল পাল্টা অভিযানের মাধ্যমে এই বেআইনি সামরিক আক্রমণ থামাতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে নতুন কোনো আগ্রাসন চালানো হলে আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি বলেন, দেশের কৌশলগত নৌবাহিনী শত্রুর যেকোনো সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে 'দৃঢ় ও অনুশোচনাদায়ক' প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, কৌশলগত নৌবাহিনী সাম্প্রতিক সংঘর্ষগুলোতে তাদের পূর্ণ কার্যকর প্রস্তুতি প্রমাণ করেছে—বিশেষ করে জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ১২ দিনের আরোপিত যুদ্ধের পর, যখন তারা দেখাতে সক্ষম হয় যে, যেকোনো আগ্রাসন বা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তারা 'সিদ্ধান্তমূলক, কার্যকর ও অনুশোচনাদায়ক' জবাব দিতে সক্ষম। #

পার্সটুডে/এমএআর/২৯