আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা আনিস খানের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে আজ বামপন্থি ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই-ডিওয়াইএফআই কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করেছে।
আজ (শনিবার) হাওড়া জেলার পাঁচলায় পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বামেদের ওই প্রতিবাদ মিছিল কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে, পাল্টা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদকারীরা। এ সময়ে পুলিশের উপরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় বলে অভিযোগ। মারমুখী জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে এ সময়ে কাঁদানে গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করতে হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে প্রতিবাদী লোকজনকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গ্রেফতার করা হয় ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সভাপতি সৃজন ভট্টাচার্যসহ বেশ কয়েকজনকে।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার রাজপথেও ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে প্রতিবাদ-মিছিল করে সিপিএম। কোলকাতার হো-চি-মিন মূর্তি থেকে ধর্মতলার লেনিন মূর্তি পর্যন্ত যায় এই মিছিল। প্রতিবাদ মিছিলে সামনের সারিতে বড় ব্যানার নিয়ে ছিলেন, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীসহ বহু নেতৃত্ব।
আজ সিপিএম নেতা বিমান বসু বলেন, ‘যদি এ ভাবে নকল লোককে ধরে এনে টিআই প্যারেড করায়, আসল লোককে না ধরে, তাহলে তো বাংলায় আগুন জ্বলবে! তিনি আরও বলেন, ছাত্রনেতার মৃত্যুতে প্রশাসনের উপরমহলের হাত রয়েছে। তা মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট। সেসব দোষীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এই মিটিং, মিছিলের কোনও যৌক্তিকতা নেই। আদালতের নির্দেশ মেনেই আনিস-কাণ্ডের তদন্ত হচ্ছে।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/আবুসাঈদ/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।