আজম খানের আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট
(last modified Mon, 07 Nov 2022 13:35:19 GMT )
নভেম্বর ০৭, ২০২২ ১৯:৩৫ Asia/Dhaka
  •  আজম খানের আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা এবং রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খানের দায়ের করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট ভারতের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিআই) নোটিশ জারি করেছে।

ওই আবেদনে রাজ্যের রামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে জারি করা গত ৫ নভেম্বরের প্রেস নোটকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।  আগামী ৯ নভেম্বর (বুধবার) শুনানির জন্য বিষয়টি পোস্ট করে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির সমন্বিত বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল (‘এএজি’) গরিমা প্রসাদকে অন্তর্বর্তী সময়ে নির্দেশনা নিতে বলেছেন।   

সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানকে ২০১৯ সালে ঘৃণাসূচক বক্তব্যের মামলায় রামপুর আদালত  সম্প্রতি দোষী সাব্যস্ত করেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় আজম খান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং তৎকালীন রামপুর ডিএম অঞ্জনেয়া কে সিংয়ের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করেন। গত ২৭ অক্টোবর  তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ, ৫০৫ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন -১৯৫১’র ১২৫ ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ৮৫ টিরও বেশি মামলায় জড়িত আজম খানকে চলতি বছরের শুরুতে একটি জালিয়াতির মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার পর তিনি মুক্তি পান।    

২০১৯ সালের ঘৃণাসূচক বক্তব্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে রামপুর আসনের বিধায়ক আজম খানকে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে দু’বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডের শাস্তি হলে এ ধরনের সাজার তারিখ থেকে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এভাবে আজম খান দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরপরই, রামপুর নির্বাচনী কেন্দ্রকে উত্তরপ্রদেশ  বিধানসভা সচিবালয় ‘শূন্য আসন’ ঘোষণা করে। এরপর একটি প্রেস নোট জারি করা হয়েছিল যাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে শূন্য আসনের উপনির্বাচনের তফসিল আগামী ১০ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে।  

আজ (সোমবার) আজম খানের পক্ষে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র আইনজীবী শ্রী পি চিদাম্বরম আদালতকে জানান, ১১ অক্টোবর খাতৌলি কেন্দ্রের রাজ্যের শাসক দলের (বিজেপি) একজন বিধায়ককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তাকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়নি। চিদাম্বরম জোর দিয়েছিলেন যে তার মক্কেলের ক্ষেত্রে  তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরের দিনই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি ‘ইসিআই’ কর্তৃক জারি করা বিজ্ঞপ্তি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে বেঞ্চকে অবহিত করেন।    

এসময়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রসাদ (এএজি, উত্তরপ্রদেশ) তাকে শ্বাস নিতে একটু সময় দিন। এত তাড়াহুড়ো কিসের?’  প্রসাদ এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তের উল্লেখ করেন। কিন্তু বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন,  ‘তাকে আদালতে যাওয়ার জন্য কিছু যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দেওয়া উচিত। তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, এবং পরের দিন আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। তাহলে অন্য একটি আসনের (বিজেপি সদস্য) ক্ষেত্রেও একই কাজ করুন।’ #     

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ