'লিঞ্চিং, ঘৃণামূলক বক্তব্যের মতো ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'
https://parstoday.ir/bn/news/india-i121556-'লিঞ্চিং_ঘৃণামূলক_বক্তব্যের_মতো_ক্ষেত্রে_ব্যবস্থা_নেওয়া_হবে'
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
এপ্রিল ০৫, ২০২৩ ১৮:২৯ Asia/Dhaka
  • 'লিঞ্চিং, ঘৃণামূলক বক্তব্যের মতো ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল।

গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ১১টায় ওই বৈঠক হয়। বলা হচ্ছে, দেশে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মাওলানা মাহমুদ মাদানী। মাওলানা মাদানী ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের কামাল ফারুকী, নিয়াজ ফারুকী এবং অধ্যাপক আখতারুল ওয়াসে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সম্প্রতি রামনবমী উৎসবে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মহারাষ্ট্রে সহিংসতা এবং বিহারের নালন্দায় মাদ্রাসায় আগুন দেওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি সমলিঙ্গের বিবাহ এবং ‘অভিন্ন দেওয়ানী আইন’ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিয়াজ ফারুকী বলেন, প্রতিনিধিদল দেশের সামনে ১৪টি চ্যালেঞ্জের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাগুলো বৈঠকে আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল। বৈঠকে হরিয়ানায় জুনায়েদ ও নাসিরকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে রাজস্থানের ভরতপুরের বাসিন্দা জুনায়েদ ও নাসিরকে নির্মমভাবে হত্যা করে উগ্রহিন্দুত্ববাদী কথিত গোরক্ষকরা। নাসির (২৫) এবং জুনায়েদ (৩৫)কে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গো-রক্ষকরা অপহরণ করে বলে অভিযোগ। পরের দিন সকালে হরিয়ানার ভিওয়ানিতে একটি পোড়া গাড়ির মধ্যে তাদের লাশ উদ্ধার হয়।

এর পাশাপাশি বিজেপি নেতাদের বক্তব্য নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সামনে মুসলিম ধর্মীয় নেতারা তাদের বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, সরকারের নীরবতা প্রায়শই মুসলমানদের কষ্ট দেয়। এ সময়েমুসলিম নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিজেপি নেতাদের ঘৃণামূলক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।

নিয়াজ ফারুকী বলেন, উনি আমাদের বলেছেন সব ধরনের মানুষ আছে, তাই  সবাইকে একই লেন্স দিয়ে দেখা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সরকার এতে জড়িত নয়। ফারুকীর মতে, তারা যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলেন যে আপনার নীরবতা মুসলমানদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

নিয়াজ ফারুকী আরও বলেন, আমরা কোনো নেতাকে টার্গেট করিনি, এটা আমাদের লক্ষ্য ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল সহযোগিতা সৃষ্টি করা এবং দেশের পরিবেশ পরিবর্তন করা। একই সময়ে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, লিঞ্চিং এবং ঘৃণামূলক বক্তব্যের মতো ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিনিধি দলটি কর্ণাটকের পাসমান্দা মুসলমানদের জন্য (শিক্ষা ও চাকরিতে) সংরক্ষণের বিলুপ্তির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মুসলিম নেতারা ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড’ বা অভিন্ন দেওয়ানি আইন সম্পর্কে অমিত শাহের অবস্থান জানার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে রাজি হননি।#   

 

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/ ৫

 বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।