পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকের ৭০%ই মুসলিম, দায়ী মমতা:শুভেন্দু  
(last modified Sat, 29 Apr 2023 11:28:35 GMT )
এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ১৭:২৮ Asia/Dhaka
  • পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকের ৭০%ই মুসলিম, দায়ী মমতা:শুভেন্দু  

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ৪৫ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলিম  ছেলেমেয়ে। এজন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তিনি আজ (শনিবার) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায়  বিজেপির সংখ্যালঘু শাখার সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন।   বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ৪৫ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক আছে। তার মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ সংখ্যালঘু মুসলিম পরিবারের ছেলেমেয়ে। তারা বাইরের রাজ্যে গিয়ে নিজের পেটের জন্য লড়াই করেন। এটা কেন হয়েছে? এজন্য দায়ী কে? কারণ, (মুখ্যমন্ত্রী) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপানদের কাজ দেননি।’    

তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু মোর্চার সমাবেশের মূল কারণ হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে পরিবারবাদ, তোষণবাদ, দুর্নীতিবাদ চাষ করেছেন। আমরা মোদীজির নেতৃত্বে বিকাশবাদ করতে চাই বাংলায়। আমরা তোষণ এবং পরিবারবাদকে খতম করতে চাই। মানুষের পেটে ভাত নেই, হাতে কাজ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের কাজ দেয়নি।  ‘এমএসডিপি’ প্রকল্পের টাকা এ রাজ্যে ৬০ শতাংশ ভারত সরকার দিয়ে দিয়েছে। ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকারের দেওয়ার কথা। কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ টাকা দিয়ে বাকি ২০ শতাংশ টাকা দিতে পারেনি বা দেয়নি। অন্যদিকে, এমএসডিপি প্রকল্পের টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু এলাকায় পানীয় জল, স্কুলের ক্লাস ঘর এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ করার কথা। কিন্তু ব্যাপক চুরি-দুর্নীতি হয়েছে। শুধু মুর্শিদাবাদ জেলায় এমএসডিপি’র কাজ একটা এজেন্সিকে দিয়ে তৎকালীন মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ করে আপনাদের কয়েকশো কোটি টাকা লুট  করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার আপনাদের হকের টাকা, হকের উন্নয়ন কেড়ে নিয়েছে।’   

মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী আজ আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভাজনের রাজনীতি করেন। ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করেন। তিনি আপনাদের কাজ দিতে পারেননি, শিক্ষা দিতে পারেননি, স্বাস্থ্য দিতে পারেননি, আপনাদের দারিদ্র মোচন করতে পারেননি, পাকা বাড়ি দিতে পারেননি। আপনাদের ছেলেমেয়েদেরকে উপযুক্তভাবে তৈরিতে সাহায্য করতে পারেননি। সেজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দুটো অস্ত্র- এক হচ্ছে অশান্তি করো, পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রাখো আর বিভাজনের প্রাচীর গড়ো। (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) ‘এনআরসি’র জুজু দেখাও’ বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।  #

পার্সটুডে/এমএএইচ/আমির/২৯ 

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।        

ট্যাগ