জুন ১৯, ২০২৩ ১৭:৪৫ Asia/Dhaka
  • প্রাণহানির আশঙ্কা! নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ‘আইএসএফ’ বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকি

পশ্চিমবঙ্গের ভাঙড়ের ‘আইএসএফ’ বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকি প্রাণহানির আশঙ্কায় নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

আজ (সোমবাই) তিনি জ়েড প্লাস নিরাপত্তা চেয়ে কোলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা। 

ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ও বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, সম্প্রতি অশান্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। এলাকার বিধায়কের কোনও নিরাপত্তা নেই। এই অবস্থায় হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জেড প্লাস  নিরাপত্তা দেওয়া হোক। এই মামলায় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও যুক্ত করা  হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আজ (সোমবার) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘আমার নিরাপত্তা নিয়ে আমি আশঙ্কায় আছি। আমার উপরে প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে। বিগত দিনেও হয়েছে, হামলা চালিয়েছে, আমার গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। যারা আমার বিরোধী আছে তারা যেভাবে ভাষাগত আক্রমণ থেকে শুরু করে শারীরিক আক্রমণ চালিয়েছে, তারাই হয়ত আগামীদিনে আক্রমণ চালাতে পারে। আমার ছাল তুলে নেবে বলেছে, চামড় গুঁটিয়ে দেবে বলেছে, রাস্তায় ফেলে মারবে যারা বলেছে, এর আগে যারা আমার উপরে হামলা চালিয়েছে তারা শাসক দলের ছত্রছায়ায় আছে। সেজন্য আমি প্রাণহানির আশঙ্কায় নিরাপত্তার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।’   

বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘আগেও প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। আমি আতঙ্কিত হয়ে আমার নিরাপত্তার জন্য আমি রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় কী রাজ্য সরকার, কী কেন্দ্রীয় সরকার, আমার নিরাপত্তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভাবেনি। সেজন্য আমি বাধ্য হয়ে আজকে কোর্টে এসেছি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাজীর এজলাসে আমরা আবেদন করেছি। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টার সময়ে এই মামলার শুনানি হবে। আশা করব তিনি এই বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন যে একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’  

বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি আজ আরও বলেন, ‘আমি শুধু আমার নিরাপত্তা নিয়ে নয়, আমি ইতোপূর্বে রাজ্যপালের কাছে ভাঙড়বাসীর নিরাপত্তার জন্য, তারা যাতে ঠিকভাবে সেখানে বাস করতে পারে, উদ্বেগের সাথে তাদের যে দিন কাটছে, তা থেকে তারা যাতে মুক্তি পায়, সেজন্য তাকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আমি রাজ্য সচিবালয় নাবন্নেও গিয়েছিলাম এই বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য কিন্তু তার মূল্যবান সময় আমাকে মুখ্যমন্ত্রী দেয়নি। অবশেষে আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে আমি নিরাপত্তা পাই এবং আমার ভাঙড়বাসী যাতে শান্তিতে থাকে’ বলেও জানান ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ও বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। #

   

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ