কুদস ফোর্সের কমান্ডারের তথ্য
ইরানের অভিযানের রাতে ইউরোপের তিন দেশকে সতর্ক করেছিল তেহরান
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানি বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে গত মাসে ইরান যখন প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় তখন সেই হামলা থেকে ইসরাইলকে রক্ষার জন্য ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্স যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। এ ব্যাপারে দেশ তিনটিকে ইরানের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল।
জেনারেল কায়ানি বলেন, “সমস্ত অপরাধীর জানা উচিত তাদের এই সমস্ত কর্মকাণ্ড এবং অপরাধগুলো তাদের একাউন্টে জমা হয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেনের এটা ভাবা উচিত হবে না যে, ওই রাতে তারা বিমান মোতায়েন করেছিল এবং বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে। হ্যাঁ, ওই রাত চলে গেছে তবে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে।”
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে আইআরজিসি’র সিনিয়র কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমির শাহাদাতের ৪০তম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জেনারেল কায়ানি।
গত ১ এপ্রিল ইহুদিবাদী ইসরাইল দামেস্কে ইরানি কনসুলেট অফিসে হামলা চালালে জেনারেল রাহিম-সহ আইআরজিসি’র অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তা শহীদ হন। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ১৩ এপ্রিল রাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায় এবং কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।
ইরানের ওই অভিযান থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য আমেরিকা এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা সর্বশক্তি নিয়োগ করে। ওই রাতে ইরানের অভিযান ঠেকানোর জন্য নৌবাহিনীর অন্তত আটটি গ্রুপ মোতায়েন করা হয় এবং ২০০’র বেশি যুদ্ধবিমান আকাশে টহল দিতে থাকে।
অভিযান সম্পর্কে জেনারেল কায়ানি বলেন, অভিযানের বিজয় শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের সংখ্যার ওপর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং সেখানে আরো অনেক গোপন কিছু আছে যা বিশ্লেষণ করতে বহু সময় লাগবে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।