সংসদে মুসলিম সাংসদ কম থাকায় ওয়াইসির উদ্বেগ প্রকাশ
(last modified Tue, 19 Sep 2023 05:11:28 GMT )
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ ১১:১১ Asia/Dhaka
  • সংসদে মুসলিম সাংসদ কম থাকায় ওয়াইসির উদ্বেগ প্রকাশ

ভারতের মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি সংসদে মুসলিম প্রতিনিধিদের সংখ্যা কম হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি মুসলিমসহ সংখ্যালঘু বিরোধী বিভিন্ন তৎপরতার বিষয়ে সংসদের ব্যর্থতা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন।

গতকাল (সোমবার) ছিল পুরোনো সংসদ ভবনে অধিবেশনের কাজকর্মের মেয়াদের শেষ দিন। আজ (মঙ্গলবার) নয়া সংসদে প্রবেশ করবেন এমপিরা। সেখানেই চলবে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা বিশেষ অধিবেশনের বাকি কার্যক্রম।

ওয়াইসি ওই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করে বলেছেন, ‘পিচ পরিবর্তন করলে খেলার কোনো পরিবর্তন হয় না। খেলা পরিবর্তন করতে হবে। আপনারা পিচ পরিবর্তন করছেন। আমাদের সংবিধানকে অটুটভাবে মেনে চলতে হবে। তা না হলে নতুন ভবনটিও হিটলারের রাইখস্ট্যাগ ভবনে পরিণত হতে পারে।    

ভারতের নতুন ও পুরাতন সংসদ ভবন

ওয়াইসি সংসদকে দেশের হৃদয়, যা মানুষের বেদনা অনুভব করে বলে মন্তব্য করেছেন। এ সময়ে তিনি শিখ বিরোধী দাঙ্গা, বাবরি মসজিদ ধ্বংস, ভাগলপুর সহিংসতা, মুজাফফরনগর গণহত্যা, ‘টাডা’, ‘পোটা’, ‘আফস্পা’  এবং ‘ইউএপিএ’ আইনের কথা উল্লেখ করে সংসদের ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে ধরেন।

ওয়াইসি বলেন, ‘আজকে গরিব, নিপীড়িত, দলিত, আদিবাসী ও মুসলমানদের মধ্যে সংসদের প্রতি ভালোবাসা ও আস্থা কমে গেছে, সে কারণেই মানুষ ন্যায় বিচারের দাবিতে সড়কে নামতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ, এখন মানুষ মনে করছে সংসদ আর  মানুষের হৃদয় নেই। বরং, এটি একটি একটি ভবন হিসেবে রয়ে গেছে। কৃষকদের আন্দোলন হোক, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হোক  বা তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ ইস্যুতে প্রতিবাদ হোক, লোকেরা সড়কে নামতে বাধ্য হচ্ছে। আমরা যদি সংসদকে আমাদের হৃদয়ের মতো না রাখি এতে সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরাট ক্ষতি হবে।’

ওয়াইসি চাণক্যের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করে বলেন, চাণক্য ঠিকই বলেছেন, শাসকরা যখন ব্যবসায়ী হবে, তখন দেশের মানুষ ভিখারি হয়ে যাবে। ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আরও বলেন, ‘আমাদের সকলের দায়িত্ব পালন করতে হবে। যদিও এই ভবনটি ইটের তৈরি। কিন্তু এই ভবনে হৃদয় আছে এবং আমাদের এটি হৃদয়ের মতো রাখতে হবে।’     

তিনি বলেন, দেশে ১৪ শতাংশ মুসলমান থাকলেও সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ! মুসলমানরা ভোটার হয়েছেন। ভোট গ্রহণকারী হতে পারেননি। জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ 'হৃদয়ে' (সংসদ) প্রতিনিধিত্ব না করলে আপনারা কী সিদ্ধান্ত নেবেন? সংবিধান প্রণেতা বিআর আম্বেদকরের কথা উল্লেখ করে ‘ব্রিটিশরা কর বাড়াতে সংসদ ডাকতো। আজ আমরা সেই পথেই হাঁটছি’ বলেও মন্তব্য করেন মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/১৯     

ট্যাগ