জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ ১৮:৩৩ Asia/Dhaka
  • মণিপুরে সহিংস হামলায় কম্যান্ডোসহ হতাহত ২ জওয়ান

বিজেপিশাসিত মণিপুরের মোরেহ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়িতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে ওয়াংখেম সোমরজিৎ নামে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের (আইআরবি) এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও এক সেনা জওয়ান।

আজ (বুধবার) সকালে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মোরেহতে রাজ্যের পুলিশ কমান্ডোর সাথে সংযুক্ত ছিলেন আইআরবি কর্মী সোমরজিৎ। তিনি ইম্ফল পশ্চিম জেলার মালোমের বাসিন্দা ছিলেন। মোরেহ হল ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অবস্থিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর।

পুলিশ জানায়, মোরেহের তিনটি আলাদা জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুর্বৃত্তরা মোরেহ এসবিআইয়ের কাছে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে বোমা নিক্ষেপ করে ও গুলিবর্ষণ করে। তারা অস্থায়ী কমান্ডো পোস্টে আরপিজি  শেলও নিক্ষেপ করে, এরফলে কাছাকাছি পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে টেংনুপল জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

এদিকে, মোরেহতে অব্যাহত সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছে। কমিশনার হোম টি রঞ্জিত সিং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে একটি চিঠি লিখে বলেছেন, এখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। যে কোনো সময় মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দিতে পারে। তাই হেলিকপ্টার দেওয়া হোক।

পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, গত বছর অক্টোবরে আনন্দ সিং চৌধুরী নামে মোরেহের এসডিপিও (মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা) নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় গত ১৫ জানুয়ারি ফিলিপ খংসাই ও হেমোখোলাল মেট নামে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ করছে। উভয় অভিযুক্তকে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়। এবং সেখান থেকে তাদের ৯ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। 

অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি চাইনিজ হ্যান্ড গ্রেনেড, দশ রাউন্ড গুলি ও দশটি ডেটোনেটর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে এর  আগে মোরেহ থানার সামনে বিক্ষোভ করেছিল স্থানীয় লোকজন।

কুকি ইনপি টেংনুপল (কেআইটি), চুড়াচাঁদপুর জেলা-ভিত্তিক আদিবাসী উপজাতীয় নেতা ফোরাম (আইটিএলএফ) এবং কাংপোকপি জেলা-ভিত্তিক কমিটি অন ট্রাইবাল ইউনিটি (সিওটিইউ) ওই দু’জনকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের দাবি- এসডিপিও আনন্দ সিং হত্যার সঙ্গে তাদের দুজনের কোনো যোগসূত্র নেই।  #   

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।       

ট্যাগ