সিএএ’ ইস্যুতে রাজনীতিতে ধর্মকে যুক্ত করে বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে: কংগ্রেস
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ/ক্যা) ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতিতে ধর্মকে যুক্ত করে বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) এসংক্রান্ত মন্তব্য করেন। কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, ‘সিএএ’তে ধর্মীয় বৈষম্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটা সম্প্রদায়কে (মুসলিম) বাদ দিয়ে ‘সিএএ’কে নিয়ে আসা হয়েছে। এটার তো উদ্দেশ্য তো পরিষ্কার। এখানে শুধুমাত্র ৩ টি দেশের কথা উল্লেখ করা আছে। বাকি প্রতিবেশি দেশগুলোর কথা বলা নেই। সেখানে একটা সম্প্রদায়কে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ফলে এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে হিন্দু-মুসলিম খেলা খেলে ভোট ভাগ করা। এটা পরিষ্কার। ভারতের সংবিধানে কোথাও বলা নেই এমন কোনও আইন করা যায় যেখানে ধর্মীয় বৈষম্য করা হবে। একটা সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া হল!
তার প্রশ্ন- নিপীড়ন কী শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে হয়? জাতিগত কারণে হয় না? ভূ রাজনৈতিক কারণে হয় না? এসমস্ত বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে এটা হচ্ছে।’ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ‘সিএএ’র বিরোধিতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কথা যত কম বলা যায় তত ভালো। লোকসভায় যখন ‘সিএএ’ পাস হচ্ছিল তখন তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ জন এমপি ভোট দেননি। আর দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) রাস্তায় ক্যা-ক্যা, ছিঃ-ছিঃ করেছেন। এটাই হচ্ছে এদের আসল মুখোশ আর মুখ। দুটো আলাদা হয়ে গেছে। পরিষ্কার ধরা পড়ে গেছে’ বলেও মন্তব্য করেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ/ক্যা তৈরি করেছে। কিন্তু এতদিনেও তার বিধি তৈরি না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারির মধ্য দিয়ে তা কার্যকর হয়েছে। বিতর্কিত ওই আইনে ‘মুসলিমদের বাদ’ দিয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা নিপীড়িত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। #
পার্সটুডে/ এমএএইচ/ এমবিএ/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন