কুরবানির গোশত দেখে ট্রেন থেকে যাত্রী ফেলে দিল পুলিশ, ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ
(last modified Thu, 15 Sep 2016 11:27:53 GMT )
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬ ১৭:২৭ Asia/Dhaka
  • কুরবানির গোশত দেখে ট্রেন থেকে যাত্রী ফেলে দিল পুলিশ, ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ

পশ্চিমবঙ্গে কুরবানির গোশত নিয়ে যাওয়ার সময় শিশুসহ মুসলিম মহিলাদের ট্রেন থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয়ার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ এবং অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে দেগঙ্গা এলাকায়। এ নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে দেড় ঘণ্টা ধরে রেল অবরোধ করে ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’। পুলিশ কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়ার পর অবশেষে রেল অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।  

‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান আজ রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘আজ সকাল ৮ টা থেকে ৯ টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত ‘হাড়োয়া রোড’ রেল স্টেশনে রেল অবরোধ করে দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তি দাবি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে আজ বিকেলে আন্দোলনকারীদের নিয়ে দেগঙ্গা থানায় আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।’    

তিনি বলেন, ‘কর্তব্যরত রেল পুলিশদের শাস্তির দাবিতে লিখিতভাবে জিআরপি থানায় অভিযোগ করা হলেও এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আজ নতুন করে রেল অবরোধ করা হয়।’  

রেল অবরোধ

আজ হাড়োয়া রোড রেল স্টেশনে রেল অবরোধে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান ছাড়াও সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের দেগঙ্গা ব্লকের সম্পাদক আলী আকবর,  সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান এবং  স্থানীয়  পঞ্চায়েত প্রধান নাসির উদ্দিনসহ এলাকার বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।

দেগঙ্গা থানা এলাকার হাড়োয়া রোড গ্রামের বাসিন্দা মনজিলা বিবির অভিযোগ, মঙ্গলবার ঈদের দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ হাসনাবাদ লোকালে সোন্ডালিয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠা মাত্রই কর্তব্যরত দুই জন রেল পুলিশ তার হাতে গোশতের ব্যাগ দেখে তাকে ও তার ৫ বছরের শিশু সন্তান হান্নান মণ্ডলকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এতে মনজিলা বিবির হাতে এবং হান্নানের মাথায় আঘাত লাগে।

মনজিলা বলেন, ‘আমার সঙ্গে থাকা গ্রামবাসী হাসিনা বিবি, রেহেনা খাতুন, মনোয়ারা বিবি এবং তাদের একটি শিশুকেও রেল পুলিশ লাথি মেরে ফেলে দিলে তারাও প্লাটফর্মে পড়ে গিয়ে আহত হয়।’

১৩ সেপ্টেম্বর রাতে বারাসত জিআরপি থানায় লিখিত অভিযোগে মনজিলা বিবি পবিত্র ঈদ-উল-আজহার দিন রেল পুলিশের সাম্প্রদায়িক এবং নৃশংস আচরণের প্রতিবাদে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।  

ওই ঘটনার প্রতিবাদে ঈদের রাতে স্থানীয় মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে দোষী রেল পুলিশদের গ্রেফতার করার দাবিতে সোন্ডালিয়া স্টেশনে ২ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে রেল পুলিশ এবং স্থানীয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

যদিও গত মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযুক্ত রেল পুলিশদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে আজ আবারো রেল অবরোধে শামিল হন বিক্ষোভকারীরা।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১৫

 

ট্যাগ