সোনিয়া ফোন করলেই অসমে জোট সরকার গড়তে রাজি আজমল
https://parstoday.ir/bn/news/india-i6670-সোনিয়া_ফোন_করলেই_অসমে_জোট_সরকার_গড়তে_রাজি_আজমল
ভারতের অসমে সরকার গড়তে এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছেন এআইইউডিএফ প্রধান মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল। অসমে এবার কোনো একটি দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এখানে মূলত কংগ্রেস, আইইউডিএফ এবং বিজেপি জোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
এপ্রিল ১২, ২০১৬ ১২:০৮ Asia/Dhaka
  • সোনিয়া গান্ধী -মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল
    সোনিয়া গান্ধী -মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল

ভারতের অসমে সরকার গড়তে এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছেন এআইইউডিএফ প্রধান মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল। অসমে এবার কোনো একটি দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এখানে মূলত কংগ্রেস, আইইউডিএফ এবং বিজেপি জোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।

মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল আগেই ঘোষণা করেছেন তিনিই রাজ্যে কিং মেকার হবেন। যদিও তিনি সাফ জানিয়েছেন, বিজেপি’র সঙ্গে কোনোমতেই জোট সরকারে যাবেন না। কংগ্রেসের কাছেও তিনি সরকার গড়ার জন্য যাবেন না। কিন্তু কংগ্রেস সমর্থন চাইলে তিনি শর্তসাপেক্ষে তা দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে তার শর্ত, যদি কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী তাকে ফোন করে জোট সরকার গড়ার জন্য বলেন তবেই কংগ্রেসের সঙ্গে যেতে রাজি তিনি।

আজমল সোমবার বিকেলে টুইটার বার্তায় কার্যত কংগ্রেসের সমালোচনা এবং আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘যদি সেক্যুলার ভোট ভাগ হয়ে যায় সেজন্য দায়ী হবে কংগ্রেস।’

তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের কাছে বারবার জোটের জন্য বলা হয়েছিল। প্রশান্ত কিশোরও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। নীতিশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদবও মহাজোট গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি দু’দিন আগেও আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের জোট নিয়ে কথা বলি, কিন্তু তারা ওই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। তারা আমাদের সঙ্গে জোটে যেতে রাজি না হয়ে সেক্যুলার ভোট বিভক্ত হতে দিয়েছে।’

অসমে সোমবারই নির্বাচন পর্ব শেষ হয়েছে। ১৯ মে ভোটের ফল বেরোনোর পরেই স্পষ্ট হবে কোন দল সেখানে ক্ষমতায় আসবে। যদিও মাওলানা বদরউদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ-এর রাজনৈতিক শক্তিকে কেউই খাটো করে দেখতে চাচ্ছেন না।

২০০৫ সালে নিজে দল তৈরি করেন মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল। বর্তমানে তিনি ধুবড়ি আসন থেকে জয়ী হয়ে পার্লামেন্টের সদস্য রয়েছেন। তার দল ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ৩ টি আসনে জয়ী হয়। অসম বিধানসভায় বর্তমানে এআইইউডিএফ-এর ১৮ জন বিধায়ক রয়েছেন। রাজ্যে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি আসনে মুসলিমরা নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে রয়েছেন। মুসলিম ভোটের ওপর ব্যাপক দখল রয়েছে মাওলানার। অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি নিজেকে অসমের রাজনীতিতে কিং মেকার হিসেবে দাবি করেছেন। তার মন্তব্য, একজন চা বিক্রেতা যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাহলে তিনি কিং মেকার হবেন না কেন?# (এমএএইচ/এআর)