সিএএ কোনও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে না: সুপ্রিম কোর্টে ভারতের সরকার
(last modified Tue, 17 Mar 2020 13:07:51 GMT )
মার্চ ১৭, ২০২০ ১৯:০৭ Asia/Dhaka
  • ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
    ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কোনও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে না। সিএএ’র সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আজ (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে তার জবাব দায়ের করেছে।

কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, এই আইন কোনও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে না এবং সাংবিধানিক নৈতিকতা লঙ্ঘনের প্রশ্নই আসে না। সরকার সুপ্রিম কোর্টে বলেছে, ‘সিএএ কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বেচ্ছাচারিতার ক্ষমতা দেয় না। এই আইনের ভিত্তিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’

বিতর্কিত ‘সিএএ’কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১৬০টিরও বেশি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে রাজস্থান ও কেরালা সরকারও রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সিএএ’র বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আবেদনে বলা হয়েছে, ওই আইন সংবিধানের আত্মার পরিপন্থী। ২২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ওই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত সেসময় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি জবাব দাখিল করার জন্য নোটিশ জারি করে। এবার কেন্দ্রীয় সরকার তার জবাব দিয়েছে।

এদিকে, গতকাল (সোমবার) তেলেঙ্গানা বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) বিরোধী প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে নির্দিষ্ট ধর্ম বা দেশের নাম বাদ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ করছে তেলেঙ্গানা বিধান পরিষদ।’

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, তাঁরা জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন। কিন্তু সিএএ ও এনআরসিকে কোনওভাবেই সমর্থন করবেন না।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আসা সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন এবং পার্সী সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভারতীয় নাগরিকত্বের বিধান রয়েছে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা হওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১৭

ট্যাগ