ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়াল, মৃত বেড়ে ১,০৭৪
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩ হাজার ৫০ জন। একইসঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৪। এপর্যন্ত ৮ হাজার ৩২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে ওই তথ্য জানা গেছে।
নয়া পরিসংখ্যানে প্রকাশ, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭১৮ জন আক্রান্ত ও ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৬৬৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। এখানে এপর্যন্ত ৯ হাজার ৯১৫ জন আক্রান্ত এবং ৪৩২ জন মারা গেছেন। আজ সকাল ৮ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাট। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৮২। মৃত ১৯৭। একদিনে সেখানে ১৬ জন মারা গেছেন।
তৃতীয় স্থানে থাকা রাজধানী দিল্লিতে এপর্যন্ত ৩ হাজার ৪৩৯ জন আক্রান্ত এবং ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চতুর্থ স্থানে থাকা মধ্য প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ১২৯ এবং আক্রান্ত ২ হাজার ৫৬১।

ভারতে করোনা মোকাবিলায় আগামী ৩ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন চলবে। পুনরায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এ সম্পর্কে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাদিক মণ্ডল আজ (বৃহস্পতিবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘প্রথমেই বলি, যে সময়ে আমাদের দেশে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সঠিক সময়ে লকডাউনের জন্যই আজ আমাদের দেশে আমেরিকা বা ইতালির ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি দেখতে হয়নি। তবে শুধুমাত্র লকডাউন দীর্ঘায়িত করেই করোনার হাত থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যাবে না। কারণ, যেহেতু এটি একটি সংক্রমিত রোগ এবং এখনও পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক বের হয়নি তাই দরকার হল বেশি করে স্ক্রিনিং করা। এরফলে যেমন একদিকে আক্রান্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে তেমনই একইসঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরকেও চিহ্নিত করা যাবে। ফলে আমরা যেমন গোষ্ঠী সংক্রমণ বা তৃতীয় পর্যায় রোধ করতে পারব তেমনি নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটাও কমবে।’

তিনি বলেন, ‘লকডাউন যাতে সঠিকভাবে মেনে চলা হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এবং লকডাউন ওঠার পরেও যাতে সামাজিক/দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা বা ভালো করে হাত ধোয়া এগুলো মেনে চলা হয় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ লকডাউন উঠে গেলে একে অন্যের সঙ্গে সংযোগের ঘটনা অনেক বেড়ে যাবে।’
সর্বোপরি এই পরিস্থিতিতে ঘরে থাকাই উত্তম। ‘বসায় থাকুন, নিরাপদে থাকুন’ এই বার্তাই এখন দিতে হবে বলেও সাদিক মণ্ডল মন্তব্য করেন।
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।