মস্কোয় ভারত-চীন বৈঠক: সেনা প্রত্যাহারের দাবি ভারতের; অনড় চীন
https://parstoday.ir/bn/news/india-i82977-মস্কোয়_ভারত_চীন_বৈঠক_সেনা_প্রত্যাহারের_দাবি_ভারতের_অনড়_চীন
ভারত-চীন চলমান সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে মস্কোয় ভারত ও চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই’র মধ্যে দু’দফায় বৈঠক হয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ত্রিপক্ষীয় স্তরে আলোচনায় বসেন ভারত, চীন এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী। রাতে ভারত এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হয়।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০ ১৫:১২ Asia/Dhaka
  • মস্কোয় ভারত-চীন বৈঠক: সেনা প্রত্যাহারের দাবি ভারতের; অনড় চীন

ভারত-চীন চলমান সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে মস্কোয় ভারত ও চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই’র মধ্যে দু’দফায় বৈঠক হয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ত্রিপক্ষীয় স্তরে আলোচনায় বসেন ভারত, চীন এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী। রাতে ভারত এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হয়।

সীমান্তে  শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতীয় সময় গভীর রাত পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে ওই বৈঠক চলে। গণমাধ্যমে প্রকাশ, উভয়পক্ষের মধ্যে বৈঠক শেষে ভারত-চীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্ত ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রী খোলাখুলি ও গঠনমূলক  আলোচনা করেছেন। প্রকৃত  নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) থেকে সেনা প্রত্যাহার ও উত্তেজনা কমাতে দু’দেশের মধ্যে পূর্বে হওয়া চুক্তির ভিত্তিতেই এগোতে হবে ও মতপার্থক্য যাতে বিরোধে পরিণত না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি কোনও দেশের পক্ষেই লাভজনক নয় বলে সহমত পোষণ করেছেন জয়শঙ্কর ও ওয়াং ই। উত্তেজনা প্রশমনে উভয় দেশই সেনা ও কূটনৈতিক স্তরের আলোচনা, দ্রুত সেনা প্রত্যাহার, সেনা  অবস্থানে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগোলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে উভয় রাষ্ট্রেরই আস্থাবর্ধক নির্মাণ প্রক্রিয়ায় নজর দেওয়া প্রয়োজন বলেও জযশঙ্কর ও ওয়াং সহমত হয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর,  ওই বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাঁর গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই-কে। সীমান্তে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে সীমান্ত থেকে চীনকে সেনা সরাতে হবে বলে ভারতের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওয়াং ই-কে বলেন, লাদাখের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দু’দেশের সম্পর্কের উপরে প্রভাব ফেলেছে এবং ভারত ও চীনের স্বার্থের জন্য এর তাৎক্ষণিক সমাধান জরুরি। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রয়োজন।

এদিকে, আজ এনডিটিভি হিন্দি ওয়েবসাইটে প্রকাশ, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে চীনের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট করেন এবং দু'দেশের মধ্যে চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনকারী বিপজ্জনক ও উস্কানিমূলক কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করার উপরে জোর দেন।

সীমান্তের অভ্যন্তরে থাকা সমস্ত সেনা এবং সরঞ্জামাদি ফিরিয়ে নেওয়া খুব জরুরি এবং সীমান্তের সেনাদের অবিলম্বে পিছু হটতে হবে, যাতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও চীনের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে, আজ মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, মোদি সরকার কী এক হাজার বর্গকিলোমিটার জমির উপর ভারতের কর্তৃত্বকে সমর্পণ করেছে? চীন চায় সীমান্ত আগ্রাসনের মধ্যে বিনিয়োগ, কূটনীতি এবং অন্য সব কিছু চলতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ে ভারতের একমত হওয়া উচিত নয়।

কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, একদিকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করছেন, অন্যদিকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ইংরেজি মুখপত্র,  গ্লোবাল টাইমস আগ্রাসী স্টাইলে আক্রমণ করছে। চীন পুনরায় ভারতকে ১৯৬২ সালের মতো শিক্ষা দেওয়ার কথা বলছে, সরকার প্রস্তুত আছে তো? মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/১১