বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের সাবেক এমপি কেডি সিং
-
রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাবেক সংসদ সদস্য কেডি সিং।
বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাবেক সংসদ সদস্য কেডি সিং। আজ (বুধবার)এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দিল্লিতে তাকে গ্রেফতার করেছে।
অ্যালকেমিস্ট সংস্থার প্রধান হলেন কেডি সিং। তার বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। চিটফান্ড মামলায় অনেক আগে থেকে তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন তিনি।এর আগে একাধিকবার তাকে জেরা করা হয়। ২০১৯ সালে তার প্রায় ২৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। জেরার সময়ে তিনি তদন্তকারীদের সহযোগিতা করছিলেন না। এরপরে আজ তাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, কেডি সিং গ্রেফতার হতেই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ওই ঘটনায় সোচ্চার হয়েছেন। কেডি সিংয়ের সমালোচনার পাশাপাশি তিনি বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও ওই ইস্যুতে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও অ্যালকেমিস্ট সংস্থা থেকে সুবিধা পেতেন। কুনাল ঘোষ ওই ইস্যুতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, শোভন চ্যাটার্জিকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানান।
অন্যদিকে, কে ডি সিংকে গ্রেফতারের পরে তৃণমূলের সিনিয়র নেতা অধ্যাপক সৌগত রায় এমপি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ দফতরের অধীন তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং বা পিএমএলএ’তে কেউ অভিযুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ওই সংস্থা। আমার মনে হয়, নিশ্চয়ই কোনও দোষ পেয়েছে, তাই গ্রেফতার করেছে। তবে কেডি সিং অনেকদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে নেই। এখন উনি আর এমপিও নেই। সুতরাং ওকে নিয়ে আর কী মন্তব্য করব?’
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ৭০ লাখ পরিবার প্রতারিত হয়েছে অ্যালকেমিস্টের দ্বারা। তৃণমূলের সাবেক এমপি’র হাতে সর্বস্ব খুইয়েছেন বহু প্রান্তিক ও গরিব মানুষ। সেজন্য, শুধু গ্রেফতার নয়, কেডি সিংয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/১৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।