টার্গেট কিলিং বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে
জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েন হছে অতিরিক্ত ৫ কোম্পানি জওয়ান, ব্যাপক তল্লাশি
জম্মু-কাশ্মীরে আধাসামরিক বাহিনী ‘সিআরপিএফ’-এর অতিরিক্ত ৫ কোম্পানি জওয়ান পাঠানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের মোতায়েন করা হবে। নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, সন্ত্রাসীরা ক্রমাগত বেসামরিক মানুষজনকে হত্যা করার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ (বুধবার) ‘আজতক’ হিন্দি গণমাধ্যম জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেখানে সিআরপিএফের অতিরিক্ত ৫ টি কোম্পানি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরফলে সেখানে এখন নিরাপত্তা বাহিনীর মোট ৫৫ টি কোম্পানি থাকবে।
কর্মকর্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘আজতক’ গণমাধ্যমে প্রকাশ, বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে বিএসএফের ২৫ টি এবং সিআরপিএফের ২৫ টি কোম্পানি মোতায়েন আছে। গত অক্টোবরের শেষের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্য থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এটিই তাঁর প্রথম সফর ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেশিরভাগ জওয়ানকে শ্রীনগরে মোতায়েন করা হবে, যেখানে বেসামরিক ব্যক্তি হত্যার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
কাশ্মীর উপত্যকায় সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে গেরিলা হামলায় ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এরমধ্যে অন্য রাজ্যের কিছু অ-কাশ্মীরি ব্যক্তিও রয়েছে। বলা হচ্ছে, সম্প্রতি পিস্তলের সাহায্যে টার্গেট কিলিং-এর ঘটনা বেড়েছে।
উপত্যকায় চেকিং এবং তল্লাশি অভিযান বাড়ানো হয়েছে বলে সিআরপিএফের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। শ্রীনগরে প্রতিদিন ১৫ হাজার মানুষ এবং ৮ হাজার গাড়ি চেক করা হচ্ছে। এই সময়ে, সিসিটিভি, ড্রোনসহ সমস্ত প্রযুক্তির সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে। যেসব জায়গায় সংখ্যালঘু (অমুসলিম) ও অ-কাশ্মীরিরা বাস করে, সেখানে বেশি করে চেক করা হচ্ছে।
চলতি বছরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত ১১২ জন গেরিলা নিহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩৫ জনকে। এছাড়া দু’জন আত্মসমর্পণ করেছে।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/ বাবুল আখতার/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।