ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম রাখলেন কে?
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদে বলেছেন, বিশ্বের ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী কোনো অস্ত্র দিয়েই ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র 'ফাত্তাহ'-কে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কারণ লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটে চলার সময় এই ক্ষেপণাস্ত্র একের পর এক দিক পরিবর্তন করতে থাকে এবং উচ্চতাও নির্দিষ্ট থাকে না। তিনি আজ (মঙ্গলবার) নিজেদের তৈরি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
হাজিজাদে বলেন, বিশ্বে এ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র খুবই কম তৈরি হয়েছে। ইরানসহ বিশ্বের মাত্র চারটি দেশের কাছে বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন- বিশ্বে ট্যাঙ্ক, যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানসহ সব অস্ত্র ধ্বংসের জন্যই পাল্টা ব্যবস্থা বা অস্ত্র রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের জন্যও এখন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ইরানের তৈরি এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার মতো কোনো অস্ত্র এখন পর্যন্ত নেই।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি শব্দের চেয়ে ১৩ গুণ বেশি- এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরণের গতির কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো একেবারেই অসম্ভব। জেনারেল হাজিজাদে বলেন, ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৪০০ কিলোমিটার। অ্যারোস্পেস ফোর্স এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে বসে থাকবে না বরং এ ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাওয়ার কাজ অব্যাহত রাখবে, যাতে কোনো শত্রু ইরানে হামলার চিন্তাও করতে না পারে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কর্মসূচির প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সার্বক্ষণিক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের খবর সর্বাধিনায়ককে দেওয়ার পর তিনি এর জন্য ফাত্তাহ নামটি নির্বাচন করেন।" ফাত্তাহ অর্থ হচ্ছে বিজয়ী।#
পার্সটুডে/এসএ/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।