জুন ১০, ২০২৩ ১৩:৩৭ Asia/Dhaka

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী শহীদদের অসিয়তনামাগুলো বার বার পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, সেখানে রয়েছে মানুষের জন্য অনেক শিক্ষণীয় বিষয়। ইরানে যারা যুদ্ধে যান তারা সাধারণত একটি অসিয়তনামা লিখে যান। এসব অসিয়তনামায় অনেকেই অন্যান্য মুসলমানের প্রতি নিজের পরামর্শ তুলে ধরার চেষ্টা করেন। শহীদদের বিভিন্ন স্মরণসভায় এসব অসিয়তনামা পড়ে শোনানো হয়।

সম্প্রতি ইরানের শহীদদের স্মরণসভা আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিত্বদের এক সমাবেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা শহীদদের অসিয়তনামা এবং তাদের অন্যান্য স্মৃতি যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণের জন্য আবারও নির্দেশ দিয়েছেন। শহীদদের অসিয়তনামা পড়ার পাশাপাশি তা প্রচারসহ শহীদদের স্মৃতি জাগরূক রাখতে বলেছেন তিনি। তার মতে, শহীদদের স্মৃতি রক্ষা এবং তাদের স্মরণসভার আয়োজনও একটা জিহাদ। এই জিহাদের কারণেই কারবালার শহীদদের পবিত্র রক্তের প্রভাব এখনও বিদ্যমান, তাদের আত্মত্যাগের মহত্ত্ব জাগরূক। 

তবে শহীদদের নাম জাগরূক থাকুক তা সাম্রাজ্যবাদীরা চায় না বলে মন্তব্য করেছেন সর্বোচ্চ নেতা। তাঁর মতে, সাম্রাজ্যবাদীদের এমন অন্যায় ও শয়তানি ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ হলো শহীদদের স্মরণসভার আয়োজন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা শহীদদের বাবা, মা, শিক্ষক, স্বামী বা স্ত্রী এবং তাদের ভালো বন্ধুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি মনে করেন, একজন শহীদকে এ পথে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি-সাহস ও উৎসাহ যোগানোর ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।  এ কারণে এমন ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানানোও অনেক বড় কাজ।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সব সময় ইসলামের পথে সংগ্রামকে উৎসাহ দেন। তিনি শহীদদের মর্যাদা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই কুরআনের সূরা আল ইমরানের ১৬৯ ও ১৭০ নম্বর আয়াত তুলে ধরেন, যেখানে বলা হয়েছে, 'যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে কখনই মৃত মনে করো না, বরং তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট জীবিত; তারা জীবিকা-প্রাপ্ত হয়ে থাকে। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তাতে তারা আনন্দিত এবং তাদের পিছনে যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি তাদের জন্য আনন্দ প্রকাশ করে এজন্য যে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।'

ইরানে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার মধ্যদিয়ে শাহাদাতের সংস্কৃতি অনেক বেশি জোরালো হয়েছে। এই সংস্কৃতি জাগরূক থাকা এবং ক্রমেই তা আরও শানিত হওয়ার পেছনে ইরানি সমাজের নানা পর্যায়ে কারবালায় ইমাম হোসেইন (আ.)'র শাহাদাতের ঘটনার স্মরণ এবং তাঁর শাহাদাতের উদ্দেশ্য বর্ণনার সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।#

পার্সটুডে/এসএ/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ