আগস্ট ২২, ২০২৩ ১৪:৪০ Asia/Dhaka

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইসলামি বিপ্লবের পরপরই সামরিক দিক থেকে উন্নত সব দেশ একত্রিত হয়ে ইরানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তখন সবেমাত্র বিপ্লব সফল হয়েছে এবং দেশ নানা সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু যোদ্ধারা ও শহীদেরা তাদের প্রচেষ্টায় এই সর্বাত্মক হামলা নস্যাৎ করতে সক্ষম হন।

গত ১৩ আগস্ট ইরানের আর্দেবিল প্রদেশের শহীদদের জাতীয় কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এসব কথা বলেন। সম্প্রতি ঐ বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। 

তিনি আর্দেবিল প্রদেশের জনগণের প্রশংসা করেন বলেন, আর্দেবিলের মানুষ ইরানের জন্য দু'টি বড় কাজ করেছে। এর একটি হলো জাতীয় কাজ এবং অপরটি ধর্মীয় কাজ। জাতীয় কাজটি ছিল দেশে ঐক্য ও অখণ্ডতা প্রতিষ্ঠা করা যা এখন ইরানে দেখতে পাচ্ছেন। এটা ছিল সাফাভিদের কাজ এবং এটা আর্দেবিল থেকে শুরু হয়েছিল। ধর্মীয় কাজটি ছিল আহলে বাইতের মাজহাবকে সারা ইরানে ছড়িয়ে দেওয়া।   আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, আমাদের পথ স্পষ্ট। সংগ্রাম ও প্রতিরোধের পথই আমাদের পথ। আলেমরা, বুদ্ধিজীবীরা, শিক্ষাবিদেরা এবং বিভিন্ন সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিরাসহ সবাইকে যার  যার অবস্থান থেকে চেষ্টা চালাতে হবে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের প্রচেষ্টায় বরকত দেবেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ শহীদদের রক্তে বরকত দান করেন। দেখুন, সোলাইমানির মতো একজন ব্যক্তিত্ব যখন আল্লাহর পথে শাহাদাতবরণ করেন, তখন গোটা একটি জাতি কেঁপে ওঠে, একটি জাতি নড়েচড়ে বসে। গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথ চলতে শুরু করে। এটাই হলো সেই বরকত যা আল্লাহতায়ালা শহীদের রক্তে দান করেছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সব সময় শহীদদের অবদানের প্রশংসা করেন। শহীদদের রক্ত যে সম্মান ও বরকত এনে দেয় তা দৃষ্টান্তসহ সবার সামনে তিনি তুলে ধরেন।

তার মতে, শহীদদের রক্তের বরকতেই ইরান আজ সম্মানিত। ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, মুসলমানেরা যখন মৃত্যুভয়ে জুলুম ও অন্যায় মুখবুজে মেনে নেয় তখন তাদের ওপর অপমান নেমে আসে। অন্যদিকে অকুতোভয় বীরেরা গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য সম্মান ও মর্যাদা বয়ে আনে এবং শত্রু শিবিরে কাঁপন সৃষ্টি করে তাদের চূড়ান্ত পরাজয় নিশ্চিত করে।#

পার্সটুডে/এসএ/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ