সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ ১৫:৪৯ Asia/Dhaka
  • সর্বোচ্চ নেতা
    সর্বোচ্চ নেতা

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, গোটা বিশ্ব সাদ্দামকে ইরান আক্রমণ করতে সাহায্য করেছিল এবং সবাই ছিল আক্রমণকারী। এ ধরণেরই এক যুদ্ধে, এ ধরণেরই এক সংঘাতে বিজয়ের মঞ্চে আরোহন করে সবার সামনে নিজেদের উচ্চ অবস্থান তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিল ইরানি জাতি।

আজ (বুধবার) পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাবেক সেনা ও কর্মীরা সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধে হামলাকারী কারা ছিল? এভাবে বিবেচনা করলে প্রতিরক্ষা যুদ্ধের বিশালত্ব ও গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশগুলো, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং সেদিনের সব বৃহৎ শক্তি একজোট হয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ওপর হামলায় অংশ নেয়। তখনি বলা হচ্ছিল ইরানে সাদ্দামের হামলায় মূল প্রেরণাদাতা ছিল আমেরিকা। যুদ্ধের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য অর্থাৎ গোয়েন্দা সাহায্যও আমেরিকানরাই দিয়েছিল। তারা নিয়মিত আমাদের বাহিনীর সমরসজ্জা ও অবস্থানের চিত্র আকাশ থেকে ধারণ করে সাদ্দামকে দিত। তারা যুদ্ধের কৌশলও সরবরাহ করত।

সমাবেশে সর্বোচ্চ নেতা

 

তিনি বলেন, ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় দেশগুলো সাদ্দামকে সবচেয়ে উন্নত বিমান সরঞ্জাম, জঙ্গি বিমান এবং হেলিকপ্টার সরবরাহ করেছিল। জার্মানি সাদ্দামকে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল যা ইরানে এবং হালাবজাসহ খোদ ইরাকে ব্যাপক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও জানান, প্রতিরক্ষা যুদ্ধে ইস্টার্ন ব্লক, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো সাদ্দামকে স্থলে ও আকাশে যুদ্ধের সব প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। সে সময় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল ব্যয়বহুল। এ কারণে তারা তাদের কামানগুলোকে এমনভাবে সজ্জিত করেছিল যাতে তারা কামানের সাহায্যে কম খরচে তেহরানে আঘাত হানতে পারে।

ইরানের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে আরব দেশগুলোর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আঞ্চলিক আরব দেশগুলো সাদ্দামকে অগণিত অর্থ দিয়েছিল। এই অর্থ দিয়ে সাদ্দাম ইউরোপ থেকে যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনত। তারা অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি ইরাকে অস্ত্র আমদানির জন্য যাতায়াতের পথ করে দিয়েছিল।

পার্সটুডে/এসএ/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ