অক্টোবর ০৭, ২০২৩ ০৯:৪৫ Asia/Dhaka
  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফৌজদারি অপরাধীকে নোবেল পুরস্কার দেয়া  হয়েছে

ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত একজন ইরানি নারীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তেহরান। ইরান নোবেল কমিটির এ সিদ্ধান্তকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছে।

নরওয়ের নোবেল কমিটি গতকাল (শুক্রবার) ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৫১ বছর বয়সী ইরানি নারী নার্গিস মোহাম্মদির নাম ঘোষণা করে। নোবেল কমিটি দাবি করেছে, ইরানে নারীদের ওপর কথিত নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, ইরানের আদালতে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় নার্গিস মোহাম্মাদিকে মোট ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং তিনি এখন জেলখানায় দণ্ড ভোগ করছেন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি শুক্রবারই এক বিবৃতিতে বলেছেন, কিছু ইউরোপীয় দেশ যে ‘ইরান-বিদ্বেষী ও হস্তক্ষেপমূলক নীতি’ মেনে চলে তারই অংশ হিসেবে নোবেল কমিটি এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো চাপ প্রয়োগের যে কৌশল গ্রহণ করেছে তারই ধারাবাকিতায় নোবেল কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কানয়ানি বলেন, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত তাদের কোনো উপকারে আসবে না বরং স্বাধীনচেতা জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে ইরানি জাতিকে আরো বেশি সংকল্পবদ্ধ করবে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মাদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্তকে ‘এই পুরস্কারের প্রাথমিক উদ্দেশ্য থেকে হতাশাজনক বিচ্যুতি’ বলে মন্তব্য করেন।

তিনি ইরানের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ব্যাপারে ‘অসত্য ও মিথ্যা দাবি’ করায় নোবেল কমিটির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তথ্য জালিয়াতি এবং ইরানের অভ্যন্তরীণ ঘটনাবলী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও একপেশে বর্ণনা তৈরি করার যে দৃষ্টিভঙ্গি কিছু ইউরোপীয় সরকার গ্রহণ করেছে নোবেল কমিটির বিবৃতিতে তা প্রতিফলিত হয়েছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ৭

ট্যাগ