নভেম্বর ০৩, ২০২৩ ১৯:১১ Asia/Dhaka

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান গাজার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর পাশবিক হামলা এবং অপরাধযজ্ঞের বিষয়ে মুসলিম দেশ বিশেষ করে আরব রাষ্ট্রগুলোর নিষ্ক্রিয়তা অবসানের প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় কাতার ও তুরস্কে সফরে গিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আল কুদস দখলদার শাসক গোষ্ঠীর নির্বিচারে বিমান হামলা ও  নজীরবিহনীন অপরাধযজ্ঞের চার সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে এবং আজ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত ফিলিস্তিনি শহীদের সংখ্য ৯ হাজার ৬১১ এবং আহতের সংখ্যা ৩২ হাজারে পৌঁছেছে।

যদিও পশ্চিমা শক্তিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর পক্ষে রয়েছে এবং যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করছে এবং আরব দেশগুলো দখলদার ইসরাইলের নানা অপরাধজ্ঞের ওপর নজর রাখছে. ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান গত চার সপ্তাহ ধরে এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান নতুন কূটনৈতিক সফরে মঙ্গলবার কাতারে গেছেন। সেখানে তিনি  কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং গাজা যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে আমির আবদুল্লাহিয়ান কাতার সফর করেন এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আমিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে অধিকৃত অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। আমির আবদুল্লাহিয়ানের কাতার সফরের গুরুত্ব হলো দোহা সরকার ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানও গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সংকল্প রয়েছে।

কাতার সফরের পর  ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কে গিয়ে সেদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অধিকৃত ভূখণ্ডের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করেন। আমির আবদুল্লাহিয়ানের তুরস্ক সফরের গুরুত্বের একটি কারণ হলো ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মতো তুরস্কও অন্যতম ইসলামী শক্তি।

গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে তুরস্ক ও ইরানের অবস্থানের নৈকট্য একদিকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে অন্যদিকে তেল আবিবকে সমর্থন বন্ধ করতে পশ্চিমা শক্তিগুলোর ওপর চাপ বাড়াতে পারে। নিঃসন্দেহে গাজার জনগণের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে তাদেরকে গণহারে হত্যা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর সাহসিকতার অন্যতম কারণ হল গাজার জনগণের অবস্থার প্রতি ইসলামী দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তা। 

ইরান, সৌদি আরব ও তুরস্কের মতো প্রধান ইসলামি দেশ এবং কাতারের মতো প্রভাবশালী দেশগুলো যদি গাজাকে সমর্থন করার এবং ইহুদিবাদী শাসকের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় তাহলে তেল আবিব শাসক গোষ্ঠী যুদ্ধ ও অপরাধ বন্ধ করতে বাধ্য হবে।#

পার্সটুডে/এমবিএ/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ