ইসরাইলের সঙ্গে অন্তত অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i134142-ইসরাইলের_সঙ্গে_অন্তত_অর্থনৈতিক_সম্পর্ক_ছিন্ন_করুন_ইরানের_সর্বোচ্চ_নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আজ (সোমবার) আবারও বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে অন্তত অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪ ১৪:৪০ Asia/Dhaka
  • ইসরাইলের সঙ্গে অন্তত অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আজ (সোমবার) আবারও বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে অন্তত অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।

দখলদার ইসরাইলকে শক্ত আঘাত করার জন্য নিজ নিজ দেশের সরকারকে বাধ্য করতে মুসলিম দেশগুলোর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তথা জনগণকে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে পরামর্শ দেন তিনি। 

ইমাম খোমেইনী (রহ.)-এর প্রতি স্বৈরাচারী শাহের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ঐতিহাসিক আনুগত্যের দিবসকে সামনে রেখে আজ ইসলামি ইরানের সেনাবহিনীর বিমান ইউনিটের এক দল কর্মকর্তা ও কর্মচারী সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: ২২ বাহমান বিজয় দিবসে জনগণের মহাসমারোহ ও মিছিলে অংশগ্রহণ জাতীয় গর্বের প্রতীক। তিনি বলেন: আল্লাহর রহমতে এ বছরও জনগণ বিপুলভাবে মিছিলে অংশগ্রহণ করবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন: বিশিষ্ট দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব অনেক ভারী। তাদের দায়িত্বে অবহেলার সুযোগ নেই। তাদের অবহেলা জাতির জন্য ঐতিহাসিক আঘাত বয়ে আনবে। বিশিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য শত্রুদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। সমাজে বিশিষ্টজনদের ভূমিকাকে আড়াল করা, তাদের ব্যাপারে জনমনে দ্বিধা-সংশয় সৃষ্টি করা শত্রুদের বিশেষ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। গাজা বিষয়ে মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো তাদের অন্যতম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন: বিপ্লবের আগে বিমান বাহিনীর মধ্যে থাকা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা আমেরিকান বিমান বাহিনীকে সম্পূর্ণ ইরানী বিমান বাহিনীতে পরিণত করেছিল। বাহিনীর ভেতর মুমিনের সংখ্যা প্রচুর ছিল তবে নেতৃত্বে ছিল মার্কিন পন্থিরা। সকল অস্ত্রশস্ত্র ছিল আমেরিকার। ইরান সেইসব অস্ত্র নিজেদের টাকায় কিনতো। অথচ তারা আমেরিকার কমান্ডে চলতো। সেই মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানি বাহিনীতে পরিণত হয়ে বিপ্লব বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে সর্বোচ্চ নেতা স্মৃতিচারণ করেন।  

১৯৭৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে শাহের বিমান বাহিনীর অফিসাররা ইমাম খোমেনী (রহ.)'র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। এ কারণে ইরানে ফার্সি ১৯ বাহমান মোতাবেক ৮ ফেব্রুয়ারিকে বিমান বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

পার্সটুডে/এসএ/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।