মার্চ ১৪, ২০২৪ ১৬:১৪ Asia/Dhaka
  • ইরানে নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে বাৎসরিক তাকলিফ অনুষ্ঠান

ইসলামে মেয়েরা ৯ বছর বয়সের কাছাকাছি এবং ছেলেরা ১৫ বছর বয়স হলে তারা ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের জন্য উপযুক্ত বয়সে উপনীত হয়। তাদেরকে নিয়ে ইরানে প্রতি বছর ইবাদতের যে উৎসব পালন করা হয় তাকে তাকলিফ উৎসব বলে আখ্যায়িত করা হয়।

ইরানের বিভিন্ন স্কুল থেকে ১০০০ ছাত্র-ছাত্রী ইবাদতের এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন। এই নিবন্ধে পার্সটুডের নির্বাচিত বেশ কিছু ছবি রয়েছে।

 
প্রাচীন ইরানি সংস্কৃতিতে প্রতিটি ঈদ বা প্রতিটি পবিত্র অনুষ্ঠান যা তারা মহান আল্লাহর কাছ থেকে আশীর্বাদ হিসেবে পেয়েছে সেগুলো তারা অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করে আসছে।  
ইরানে নিস্পাপ শিশুদের নিয়ে ইবাদতের উৎসব এমন একটি উৎসব যেখাানে ৯  বছর বয়সে মেয়েদের মসজিদে  প্রবেশ এবং একমাত্র মহান আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য অনুষ্ঠিত হয়।
সঠিকভাবে ইবাদত করার জন্য বুদ্ধির বিকাশ ঘটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
একটি শিশু বালেগ বা বালেগায় উপনীত হওয়ার অর্থ হল একজন ব্যক্তি এমন এক স্থানে পৌঁছেছেন যেখানে তিনি সচেতনভাবে আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। 
আকল বা বুদ্ধি মানে মানুষের ভালো-মন্দ জানার ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। 
গত বছরের তাকলিফ উৎসবে মেয়েদের সঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের চিত্র যেটি অনেক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
ইসলামে যুক্তি এবং প্রেমের ভিত্তিতে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রতি ব্যাপক জোর দেওয়া হয়েছে। 
মোহর এমন একটি টুকরা যেটি মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। শিয়া মুসলমানরা নামাজের সময় মাটির উপর সিজদা করে - এটি অনেক রেওয়ায়েতে উল্লেখ করা হয়েছে যে নবী (সা) তাঁর সাহাবীদেরকে মাটির উপর সিজদা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। 
ইবাদতে শারীরিক শক্তি
এর অর্থ হলো বুদ্ধিবৃত্তিক, শারীরিক এবং আর্থিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা। 
ইবাদতের এই  উৎসবে ছেলে ও মেয়েদের একে অপরের প্রতি সম্মান করতে শেখানো হয়। 
ইসলামি গ্রন্থ অনুসারে মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার কর্তব্য পালন এবং নিষিদ্ধ জিনিস ত্যাগ করার জন্য পুরস্কৃত করেন।  এটি মানুষের কর্মের চেয়েও বড় পুরস্কার এবং এটি তার বান্দাদের প্রতি তার অনুগ্রহ এবং দয়া বলে মনে করা হয়।
হামাদান শহরে ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর হোসাইনি ইমামবাড়াতে ইবাদতের এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ