সাইবার জগতে দেয়া সাক্ষাতকারে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা জানিয়েছেন যে গত ১৩ এপ্রিল অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় শিশু-হত্যাকারী আগ্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের নিখূঁত প্রতিশোধমূলক হামলার ফলে ফিলিস্তিনি এবং তাদের বাচ্চারা ওই রাতে মুখে একটু হাসি নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে গিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, ওই হামলার কারণে ইহুদিবাদী অপরাধীরা রাতারাতি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধযজ্ঞ চালানো বন্ধ করে দেয়।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ একেবারে দ্বার প্রান্তে রয়েছে। সেখানকার শিশুরা ক্ষুধার্ত পেটে ঘুমাতে যায় এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রকৃতপক্ষে নষ্ট করা হচ্ছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল যখন গাজা উপত্যকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে তখন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এই বিবৃতি দিল।
ইসলামে মেয়েরা ৯ বছর বয়সের কাছাকাছি এবং ছেলেরা ১৫ বছর বয়স হলে তারা ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের জন্য উপযুক্ত বয়সে উপনীত হয়। তাদেরকে নিয়ে ইরানে প্রতি বছর ইবাদতের যে উৎসব পালন করা হয় তাকে তাকলিফ উৎসব বলে আখ্যায়িত করা হয়।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইল ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে তার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, এই অবরোধ গাজার শিশুদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার শামিল।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতালটি শেষ পর্যন্ত জ্বালানীর অভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা গতকাল (শনিবার) বলেছেন, জ্বালানীর অভাবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় আল-শিফা হাসপাতালের সব রকম কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেখানকার ইনকিউবেটরে থাকা ৪৫ শিশুর মধ্যে ৩৯ শিশু এখন মৃত্যুর ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ক্রমেই ‘শিশুদের জন্য কবরস্থানে’ পরিণত হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি গতকাল (সোমবার) নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, “গাজা শিশুদের জন্য কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। প্রতিদিন সেখানে শত শত বালক ও বালিকা হতাহত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।”
গাজা উপত্যকার খান ইউনুসে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। সেখানে শত শত ফিলিস্তিনি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিলেন। আজকের হামলায় সেখানে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অসহায় মানুষদের ওপর ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে প্রতি মুহূর্তে হতাহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বাড়ছে।
মজলুম ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে আজ (শুক্রবার) ইরানের সর্বত্র মিছিল হয়েছে। রাজধানী তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামের মানুষ আজকের মিছিলে অংশ নিয়েছেন। ইরানের দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারী যাযাবরেরাও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে শ্লোগান দিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আফ্রিকা মহাদেশ কখনো পশ্চিমা উপনিবেশবাদের কালো অধ্যায় ভুলে যাবে না। তারা সব সময় স্মরণ রাখবে, সেখানকার শিশুদের পশ্চিমা উপনিবেশবাদীরা খাঁচায় বন্দি করে পাচার করেছিল।