গাজার শিশুদের কণ্ঠ যেভাবে চেপে রাখছে বিবিসি
https://parstoday.ir/bn/news/world-i153174-গাজার_শিশুদের_কণ্ঠ_যেভাবে_চেপে_রাখছে_বিবিসি
পার্স টুডে - ব্রিটিশ মিডিয়া ওয়াচডগ বর্ণনাকারীর পারিবারিক সম্পর্ক প্রকাশ না করার অজুহাতে "গাজা" তথ্যচিত্রটি অপসারণের জন্য একটি রায় জারি করেছে, যার ফলে দেশটির গণমাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
(last modified 2025-10-18T14:02:29+00:00 )
অক্টোবর ১৮, ২০২৫ ১৯:২৭ Asia/Dhaka
  • গাজার শিশুদের কণ্ঠ যেভাবে চেপে রাখছে বিবিসি
    গাজার শিশুদের কণ্ঠ যেভাবে চেপে রাখছে বিবিসি

পার্স টুডে - ব্রিটিশ মিডিয়া ওয়াচডগ বর্ণনাকারীর পারিবারিক সম্পর্ক প্রকাশ না করার অজুহাতে "গাজা" তথ্যচিত্রটি অপসারণের জন্য একটি রায় জারি করেছে, যার ফলে দেশটির গণমাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

ব্রিটিশ মিডিয়া ওয়াচডগ অফকম, "গাজা: হাউ টু সারভাইভ ইন আওয়ার জোন বা গাজা: কিভাবে যুদ্ধ-কবলিত এলাকায় টিকে থাকতে হয়" শীর্ষক তথ্যচিত্রটিকে সম্প্রচার নিয়মের লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে, কারণ এ তথ্য-চিত্রে ১৩ বছর বয়সী বর্ণনাকারীর সাথে হামাসের একজন সরকারি কর্মকর্তার পারিবারিক সম্পর্ক প্রকাশ করা হয়নি। সংস্থাটি বিবিসিকে তাদের নেটওয়ার্কে এ সংক্রান্ত তদন্তের ফলাফল তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছে।

গত শীতে প্রচারিত এই তথ্যচিত্রটিতে একজন ফিলিস্তিনি শিশুর চোখে বোমা হামলার ছায়ায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রার বর্ণনা দেয়া হয়েছিল। তবে, সম্প্রচারের মাত্র কয়েকদিন পরেই, "কথকের পারিবারিক পরিচয়ে অস্পষ্টতার" অজুহাতে এটি বিবিসি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

যদিও বিবিসির একটি অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন নিশ্চিত করেছে যে পারিবারিক সম্পর্কের কারণে তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু প্রভাবিত হয়েছে এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, তবুও নেটওয়ার্কের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা ছবিটি পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সমালোচকরা বলছেন যে বিবিসি ও অফকম একটি শিশুর মানবিক আখ্যানকে রক্ষা করার পরিবর্তে রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে, যা যুক্তরাজ্যের মূলধারার মিডিয়া থেকে ফিলিস্তিনি আখ্যানকে বাদ দেয়ার একটি বৃহত্তর প্রবণতার অংশ।

একই সময়ে সুশীল সমাজ ও স্বাধীন গবেষণা সংস্থাগুলো গাজা যুদ্ধের সংবাদ কভারেজের ক্ষেত্রে গভীর পক্ষপাতের কথা জানিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ফিলিস্তিনিদের কর্মকাণ্ড বর্ণনা করার ক্ষেত্রে অপরাধ" এবং "গণহত্যা" এর মতো শব্দগুলি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হয়।

বিবিসির প্রাক্তন কয়েক ডজন সাংবাদিকও এমন একটি "শ্বাসরুদ্ধকর সম্পাদকীয় পরিবেশ" সম্পর্কে কথা বলেছেন যেখানে গাজায় মানবিক ক্ষতির ওপর জোরালো দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যে কোনও প্রতিবেদন তৈরি করাকে খুব স্পর্শকাতরতা বা সংবেদনশীলতার সাথে দেখা হয়।

অফকমের এই রায় কেবল একটি তথ্যচিত্রই নয়, বরং যুক্তরাজ্যের "বাকস্বাধীনতার" ধারণাটিকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। যখন একজন যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুর মানবিক কাহিনী প্রকাশ্যে আনার পরিবর্তে জনসাধারণের গণমাধ্যম থেকে তা সরিয়ে দেয়া হয়, তখন প্রশ্ন ওঠে যে গণতন্ত্রের জন্মভূমি বলে দাবি করা একটি দেশে কার কণ্ঠস্বর শোনার অধিকার আছে? #

পার্স টুডে/এমএএইচ/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।