ফার্সি নতুন বছরের স্লোগান: ‘জনগণের অংশগ্রহণে উৎপাদন বৃদ্ধি’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী নয়া ফার্সি বছরে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি এ বছরের নাম দিয়েছেন ‘জনগণের অংশগ্রহণে উৎপাদন বৃদ্ধি’।
আজ ফার্সি নববর্ষ বা নওরোজ উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, গত বিদায়ী ফার্সি ১৪০২ সালে আমাদের স্লোগান ছিল ‘মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি’। এই স্লোগান বাস্তবায়নে অনেক ভালো কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্লোগানের দু’টি অংশ নিয়েই অনেক কাজ হয়েছে, অনেক অগ্রগতি হয়েছে, তবে তা সর্বোত্তম পর্যায়ের ছিল না। যা কিছু অর্জিত হয়েছে তা ভালো। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। অবশ্য গত বছরের স্লোগানটি এমন কোনো স্লোগান নয় যে, এক বছরে এ সংক্রান্ত প্রত্যাশা সর্বোত্তম উপায়ে পূরণ হয়ে যাবে। এই স্লোগান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, যে বছরটি আমাদের সামনে রয়েছে অর্থাৎ যে বছরটিতে আমরা এরিমধ্যে প্রবেশ করেছি তাতে আমাদেরকে অনেক কাজ করতে হবে এবং এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। দেশের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকার, সংসদ, বিচার বিভাগ এবং সাধারণ মানুষসহ সবাইকে এই কাজের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। এ বছরও আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অর্থনীতি। দেশের দুর্বল পয়েন্ট এখানেই। এসব ক্ষেত্রে আমাদেরকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, দেশের অর্থনৈতিক সমস্যাবলী সমাধানের মূল চাবিকাঠি রয়েছে উৎপাদনের মধ্যে; দেশীয় উৎপাদন তথা জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে। এ কারণেই গত কয়েক বছর ধরেই আমরা উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করছি। যদি উৎপাদন বাড়ে এবং জাতীয় উৎপাদনের পথে আমাদের যাত্রা সর্বোত্তম উপায়ে অব্যাহত থাকে তাহলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান অনেক বড় বড় সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে। মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান ও মুদ্রামান ইস্যুর মতো মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো উত্তম পন্থায় সমাধান করা সম্ভব হবে। কাজেই উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এ কারণে এ বছরও এ বিষয়ের উপরই জোর দেব। আশা করছি এ বছর উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় ধরণের অগ্রগতি ঘটবে এবং আমি বিশ্বাস করি জনগণের অংশগ্রহণ ও উপস্থিতি ছাড়া এটা সম্ভব হবে না।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি চাইলে অর্থনীতিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে, উৎপাদনের ক্ষেত্রে জনগণের সম্পৃক্ততার পথ ভালো ভাবে খুলে দিতে হবে। তাদের অংশগ্রহণ ও উপস্থিতির পথে বাধাগুলো অপসারণ করতে হবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, জনগণ অনেক বড় সুযোগ ও সম্ভাবনার ক্ষেত্র। বিদ্যমান সুযোগ ও সম্ভাবনাকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজে লাগাতে হবে। কাজেই এবারের স্লোগান হচ্ছে: ‘জনগণের অংশগ্রহণে উৎপাদন বৃদ্ধি’। এটাই এ বছরের স্লোগান। আশাকরি ইনশাআল্লাহ এই স্লোগানটি সর্বোত্তম ভাবে বাস্তবায়িত হবে।
আশা করা হচ্ছে ইরানের পরিকল্পনাবিদেরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করবেন, বিশেষজ্ঞরা তাদের চিন্তা-বুদ্ধি দিয়ে সহযোগিতা করবেন এবং অর্থনৈতিক অঙ্গনে তৎপর ব্যক্তিরা তা বাস্তবায়ন করে ইরানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।#
পার্সটুডে/এসএ/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।