এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ২০:৪৫ Asia/Dhaka
  •  শ্রীলঙ্কায় ইরানি প্রকৌশলীদের তৈরি বড় প্রকল্প 'উমাবিয়া' বাস্তবায়ন

শ্রীলঙ্কায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কোম্পানির মাধ্যমে নির্মিত বহুমুখী 'উমাবিয়া' বাঁধ এবং বিদ্যুৎ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ, পানি সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইরানের প্রকৌশল খাতে রপ্তানীর একটি বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের উদাহরণ।

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে নির্মিত উমাবিয়া প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশটির উবা প্রদেশে অবস্থিত উমাবিয়া ও মাহাতোটিলা বিয়া নদীর অতিরিক্ত পানি একই প্রদেশের নিম্ন এলাকার কৃষি উন্নয়নের জন্য স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে।

একইসাথে এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে ১২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে সেখানে জ্বালানি উৎপাদন করা হচ্ছে।

 শ্রীলঙ্কায় ইরানের তৈরি বহুমুখী প্রকল্প ‘উমাবিয়া’

প্রতিবছর ২৯০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ফলে এটি শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শুষ্ক এলাকায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে পানি সরবরাহ করতে পারবে এবং ভারি বর্ষণ কবলিত এলাকা থেকে প্রতিবছর ১৪৫ কিউবিক মিটার পানি শুষ্ক এলাকায় স্থানান্তর করতে পারবে। ইরানের বিখ্যাত ফারাব কোম্পানি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ইরানের বিশেষজ্ঞ এবং শ্রীলঙ্কার প্রকৌশলীদের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নির্মিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং এটি এখন ব্যবহারের পর্যায়ে রয়েছে।

এই প্রকল্পটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ১৪০১ সালে সামাজিক দায়বদ্ধতার সর্বোচ্চ পুরষ্কার পেতে সফল হন। এছাড়া  ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ টানেলিং অ্যান্ড আন্ডারগ্রাউন্ড স্পেস আইটিএ-র ঘোষণা অনুসারে, "উমাবিয়া" বহুমুখী প্রকল্পটি ২০২০ সালে ৫০-৫০০ মিলিয়ন ইউরো প্রকল্প বিভাগে চূড়ান্ত নির্বাচিত চারটি প্রকল্পের মধ্যে ছিল।

শ্রীলঙ্কায় ইরানের তৈরি বহুমুখী প্রকল্প "উমাবিয়া"র টানেলের ছবি

পানি ও বিদ্যুৎ শিল্পে একটি নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে ইরান এই শিল্পে প্রযুক্তিগত ও প্রকৌশল সেবা রপ্তানিতে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি পাওয়ার প্ল্যান্ট টারবাইন উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যেও রয়েছে এবং এর পাওয়ার প্ল্যান্ট শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের ৯০ ভাগ স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ড্রেনেজ সেচ নেটওয়ার্ক, টানেল এবং বাঁধ নির্মাণসহ পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ইরানের প্রযুক্তিগত ও প্রকৌশল সক্ষমতাও ১০০% এবং ইরান এই ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ৪টি দেশের মধ্যে রয়েছে।

ইরানের তৈরি বহুমুখী প্রকল্প "উমাবিয়া" শ্রীলঙ্কার ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ টানেলিং অ্যান্ড আন্ডারগ্রাউন্ড স্পেস ITA-এর চারটি চূড়ান্ত নির্বাচিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে।

ইরানের ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের আগে ইরানে কারিগরি-প্রকৌশলী ক্ষেত্রে পানি প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো ক্ষমতা ছিল না এবং দেশটি পানি শিল্পে বিদেশি কোম্পানির উপর নির্ভরশীল ছিল।#

পার্সটুডে/এমবিএ/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন

ট্যাগ