আমেরিকার নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়
(last modified Sat, 10 Aug 2024 13:19:39 GMT )
আগস্ট ১০, ২০২৪ ১৯:১৯ Asia/Dhaka
  • মাইক্রোসফটের প্রতিবেদনের ব্যাপারে ইরানের প্রতিক্রিয়া
    মাইক্রোসফটের প্রতিবেদনের ব্যাপারে ইরানের প্রতিক্রিয়া

পার্সটুডে-জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থায়ী মিশন "মাইক্রোসফ্ট" কোম্পানির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তেহরান সাইবার হামলার মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করছে। ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইরান এক বিবৃতিতে বলেছে: আমেরিকার নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

আমেরিকার মাইক্রোসফ্ট কোম্পানি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে: আসছে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরান তাদের হ্যাকারদের মাধ্যমে এবং অসংখ্য জাল নিউজ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশটির রাজনৈতিক সমাজে মেরুকরণ করার চেষ্টা বাড়িয়ে দিয়েছে। পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন মাইক্রোসফটের ওই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। ইরান বলেছে: ইরান নিজেই বিচিত্র সাইবার হামলার শিকার।  ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো, জনসেবা কেন্দ্র এবং শিল্প-কল-কারখানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সাইবার আগ্রাসন চালানো হয়েছে। ইরানের সাইবার শক্তি পুরোপুরি প্রতিরক্ষামূলক এবং হুমকি মোকাবেলার উপযোগী।

জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশনের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: সাইবার আগ্রাসনের কোনো লক্ষ্য কিংবা কর্মসূচি ইরানের নেই। কেননা আমেরিকার নির্বাচন একেবারেই তাদের অভ্যন্তরীণ একটা বিষয়। এ বিষয়ে ইরানের কোনোরকম সম্পৃক্ততা নেই।

এর আগেও জাতিসংঘে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থায়ী মিশন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ঘোষণা বলেছিল: আমেরিকার নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা কিংবা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারের কোনো অপচেষ্টা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এইসব অভিযোগের বেশিরভাগই নির্বাচনী প্রচারে মিথ্যাচারকে গতি দেওয়ার মনস্তাত্ত্বিক অভিযান বলে মন্তব্য করেছে ইরানের স্থায়ী মিশন।

উল্লেখ্য যে ৮১ বছর বয়সী জো বাইডেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার সাম্প্রতিক নির্বাচনী বিতর্কে আপত্তিকর মিথ্যাচার করেন। সুতরাং তাঁকে দলীয় চাপে ২১ জুলাই ২০২৪-এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে আসতে হয়েছে। ডেমোক্রেটিক পার্টি দলের পক্ষ থেকে কমলা হ্যারিস-কে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতে বছরের ৫ নভেম্বর, তারিখে। ওই নির্বাচনে যিনি বিজয়ী হবেন তিনি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৪ বছর মেয়াদি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।#

পার্সটুডে/এনএম/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ