ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে জানালেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’: ইসরাইলকে শাস্তি দেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে ইরান
-
তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার শোক মিছিল (১ আগস্ট ২০২৪)
ইহুদিবাদী ইসরাইলকে শাস্তি দেয়ার অধিকার তেহরান সংরক্ষণ করে বলে ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইরান। এর কারণে হিসেবে তেহরান বলেছে, গত মাসে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে তেল আবিব ‘ক্ষমার অযোগ্য’ অপরাধ করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি শুক্রবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন সেজুর্নের সঙ্গে আলাদা আলাদা ফোনালাপে তেহরানের এ অবস্থান ঘোষণা করেন।
ল্যামিকে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক জানান, “ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে কিংবা যুদ্ধের বিস্তার ঘটাতে মোটেও ইচ্ছুক নয়। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধী ও সন্ত্রাসী তৎপরতার জবাব দেয়ার অকাট্য অধিকার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র পিছপা হবে না তেহরান।”
এছাড়া, সেজুর্নের সঙ্গে ফোনালাপে আরাকচি বলেন, “তেহরানে হামাস নেতাকে হত্যা করে ইসরাইল ইরানের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে যা ছিল ‘ক্ষমার অযোগ্য’ অপরাধ। কাজেই আগ্রাসী এই শক্তিকে শাস্তি দেয়ার অধিকার তেহরান সংরক্ষণ করে।”
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরান সফরের সময় হত্যা করে ইহুদিবাদী ইসরাইল। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে এসেছিলেন ইসমাইল হানিয়া।
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা শুরু হওয়ার আগে থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করছিলেন হানিয়া। সেখান থেকে তিনি যুদ্ধের নয় মাসে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে মিশরের রাজধানী কায়রো সফর করেন। এছাড়া তিনি একাধিকবার তেহরান সফরে আসেন এবং একবার তুরস্ক সফরে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে হানিয়াকে শহীদ করতে সক্ষম হয় তেল আবিব।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/২৪