অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ ইরানী জাতির জাতীয়, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ: সর্বোচ্চ নেতা
(last modified 2024-09-17T10:50:30+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪ ১৬:৫০ Asia/Dhaka
  • অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ ইরানী জাতির জাতীয়, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ: সর্বোচ্চ নেতা

পার্সটুডে-ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: অলিম্পিক এবং প্যারা-অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ইরানি ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ আমাদের জাতীয়, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের বহি:প্রকাশ। হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এই অংশগ্রহণকে ইরানের সক্ষমতা এবং ঔজ্জ্বল্যের প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন।

ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার কার্যালয়ের তথ্য বিভাগ আরও জানিয়েছে, আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আজ (মঙ্গলবার) অলিম্পিক ও প্যারা-অলিম্পিকে পদক বিজয়ী এবং প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যদের দেওয়া সমাবেশে ওই মন্তব্য করেন। দেশের ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্সে সমগ্র জাতি আনন্দ, মর্যাদা ও গর্ববোধ করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন: তোমরা তোমাদের পদক ও আচরণ দিয়ে জাতিকে খুশি করেছ।

ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাকে জাতিসমূহের আধ্যাত্মিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস প্রদর্শনের পাশাপাশি শারীরিক শক্তি ও ক্রীড়া দক্ষতা প্রদর্শনের একটি মঞ্চ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তিনি বলেছেন: ইরানি ক্রীড়াবিদরা নিজেদের পেশাদারি ও ক্রীড়া দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি অর্থপূর্ণ অনেক কাজও করেছে। ফিলিস্তিন ও গাজার শিশুদের মেডেল প্রদান, হিজাব ও শালীনতা প্রদর্শন, পবিত্র ইমামদের (আ) নামে অভিযাত্রী কাফেলার নামকরণ এবং জনপ্রিয় পরিভাষায় ফিলিস্তিনি পতাকার সাথে সেলফি তোলার মতো পদক্ষেপ নিয়ে নিন্দুকদের চোখের সামনে আত্মবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। তিনি বলেন তোমরা ক্রীড়াবিদরা নিজেদের আধ্যাত্মিক যোগ্যতা এবং জাতীয়-ধর্মীয় ও ইসলামিক পরিচয় তুলে ধরে প্রশংসনীয় কাজ করেছো।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন: ইরানী জাতির পরিচয়, বাস্তবতা এবং বিশ্বাসকে নিন্দুকেরা বিকৃত করার জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলে: ইরানে নাকি ধর্মীয় অনুভূতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। অথচ ইরানের পদক বিজয়ীরা যখন কোটি কোটি দর্শকের চোখের সামনে কুরআন চুম্বন করে, সেজদা দেয় তখন ইরানী জাতির প্রকৃত পরিচয় ও স্বরূপ এবং তাদের বিশ্বাসের বিষয়টি ফুটে ওঠে। ইরানি ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্সে এ ধরনের চোখ ধাঁধানো লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে বলে সর্বোচ্চ নেতা উল্লেখ করেন।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের মাঝে দ্বৈত ও পক্ষপাতমূলক নীতি লক্ষ্য করা যায়। তারা সবসময় বলে খেলাধুলা রাজনৈতিক নয় অথচ বাস্তবতা এই দাবির সম্পূর্ণ বিপরীত। খেলাধুলায় সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। যুদ্ধের কারণে কোনো কোনো দেশকে খেলায় অংশ নিতে দেওয়া হয় না। কিন্তু ইসরাইল গাজায় চলমান যুদ্ধে হাাজর হাজার শিশুসহ ৪১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনীকে হত্যা করার পরও তাদেরকে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয় না।#

পার্সটুডে/এনএম/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।  

ট্যাগ