ইরানে ইসলামী বিপ্লবের কারণ ছিল আমেরিকা ও আধিপত্যবাদী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি: পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i146880
পার্সটুডে-বিশিষ্ট পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ বলেছেন: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে 'রাজনৈতিক স্বাধীনতা' ইরানের জনগণের বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলোর অন্যতম বলে বিবেচিত হয়।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ ১৬:১৫ Asia/Dhaka
  • ইরানে ইসলামী বিপ্লবের কারণ ছিল আমেরিকা ও আধিপত্যবাদী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি: পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ
    ইরানে ইসলামী বিপ্লবের কারণ ছিল আমেরিকা ও আধিপত্যবাদী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি: পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ

পার্সটুডে-বিশিষ্ট পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ বলেছেন: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে 'রাজনৈতিক স্বাধীনতা' ইরানের জনগণের বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলোর অন্যতম বলে বিবেচিত হয়।

ইসলামী বিপ্লবের পর পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে অর্জনগুলোর কথা উল্লেখ করে বৈদেশিক নীতি বিশেষজ্ঞ সাইয়্যেদ রেজা সাদর আল-হোসেইনি বলেন: ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলোর মধ্যে একটি হলো: ইসলামী বিপ্লবের স্লোগানে পবিত্র 'স্বাধীনতা' শব্দটির সংযোজন। ইসলামী বিপ্লবের প্রধান, স্থায়ী এবং অবিস্মরণীয় স্লোগান ছিল 'স্বাধীনতা, মুক্তি এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র'। ইতিহাসজুড়ে, ইরান কখনও কোনও দেশের উপনিবেশ ছিল না, তবে পাহলভি যুগে ইরান আমেরিকার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যার ফলে ইরানি জাতি ও দেশের সিদ্ধান্ত এমনকি নিজেদের ইচ্ছার স্বাধীনতাটুকুও বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। পার্সটুডে আরও জানায়, বার্তা সংস্থা মেহেরের সাথে এই সাক্ষাৎকারে সাদর আল-হোসেইনি বলেছেন: ইরানে ইসলামী বিপ্লবের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল মার্কিন নেতৃত্বাধীন আধিপত্যবাদী ব্যবস্থার ওপর নির্ভরতা। ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর পশ্চিম এশিয়াসহ আন্তর্জাতিক ভূগোলে ইরানের ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-সাংস্কৃতিক অবস্থান জোরদার হয়। বিপ্লব পরবর্তীকালে 'স্বাধীনতার' ওপর জোর দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়।

সে অনুযায়ী 'স্বাধীনতা, মুক্তি, ইসলামী প্রজাতন্ত্র'-এই স্লোগানটি ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের শুরু থেকেই ইরানি জনগণের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, স্থায়ী এবং সার্বজনীন স্লোগানগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়।

পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ সাইয়্যেদ রেজা সাদর আরও বলেন: দক্ষ মানবসম্পদ এবং প্রচুর বস্তুগত সম্পদের ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা এবং প্রকৃত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পরনির্ভরশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানি জাতি রাজনৈতিক স্বাধীনতা নামক একটি স্বপ্ন অর্জনের চেষ্টা করেছিল।

সাদর আল-হোসেইনি বলেন: রাজনৈতিক পরিভাষায় স্বাধীনতা বলতে বোঝানো হয়, এমন একটি জাতিকে যে জাতি তার আইনি প্রক্রিয়ার কাঠামোর মধ্যে নিজেদের জাতীয় স্বার্থ ও সামর্থের ভিত্তিতে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

তিনি বলেন: আজ ইরানের ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের ৪৫ বছর পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে 'রাজনৈতিক স্বাধীনতা' আমাদের জনপ্রিয় বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর কারণ জাতিসংঘের প্রায় ২০০ সদস্য রাষ্ট্রের তুলনায় খুব কম দেশই আছে যারা সকল বিষয়ে একটু আগে বলা সংজ্ঞার্থ অনুযায়ী প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা'র বিষয়টি দাবি করতে পারে। অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞের মতে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান গুটিকয়েক স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হচ্ছে। ইরানি জাতির বিরুদ্ধে আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর ক্রমবর্ধমান শত্রুতার অন্যতম প্রধান কারণই হল এই স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার ওপর জোর দেওয়া। কারণ এই জাতীয় অঙ্গিকার আমাদেরকে আধিপত্যবাদী এবং পরাধীন দুটি দেশের থেকে আলাদা পরিচয়ে সনাক্ত করেছে।

পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ তাঁর সাক্ষাৎকারের শেষদিকে এ কথাটি উল্লেখ করেছেন: ইরানি জাতি, নিরন্তর প্রচেষ্টা, অতুলনীয় নেতৃত্ব এবং ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর বিশুদ্ধ ইসলামের সুবাদে ঐতিহাসিকভাবে কাঙ্ক্ষিত সেই স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। নিশ্চিতভাবেই অর্জিত স্বাধীনতার সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ দেশের সার্বিক অগ্রগতি ও উন্নতির ওপর অনস্বীকার্য প্রভাব ফেলতে পারে।#

পার্সটুডে/এনএম/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।