ইরানোফোবিয়া,পর্যটকদের ইরান থেকে দূরে রাখার একটি ষড়যন্ত্র
-
ইরানোফোবিয়া,পর্যটকদের ইরান থেকে দূরে রাখার একটি ষড়যন্ত্র
পার্সটুডে-ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটন ও হস্তশিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক পর্যটন বিপণন ও উন্নয়ন বিষয়ক দফতরের মহাপরিচালক, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুদের নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরির প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন: ইরানোফোবিয়া হল একটি সুপরিকল্পিত কর্মসূচি যার লক্ষ্য ইরানের পর্যটন শিল্পের বিকাশ রোধ করা।
ইরনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটন ও হস্তশিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক পর্যটন বিপণন ও উন্নয়ন অফিসের মহাপরিচালক মোসলেম শোজায়ি বলেছেন: অনেক আন্তর্জাতিক পর্যটক সহজেই ইরানে প্রবেশের জন্য ভিসা পেতে পারেন কিন্তু প্রতিকূল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রচারণা এবং তুচ্ছ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে প্রচারের ফলে পর্যটকদের মধ্যে ভয় ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এমনকি শত্রুরা তথ্য বিকৃত করার এবং নিরাপদ ও অতিথিপরায়ণ হিসেবে ইরানের ভাবমূর্তি নষ্ট করারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
৪০ টিরও বেশি দেশের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার; পর্যটন উন্নয়নে একটি বড় পদক্ষেপ
বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ইরান সরকারের সুবিধাজনক নীতির কথা উল্লেখ করে শোজায়ি বলেন: ইরান একতরফাভাবে অথবা দ্বিপাক্ষিকভাবে ৪০ টিরও বেশি দেশের জন্য ভিসাহীন প্রবেশাধিকার দিয়েছে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, ওমান এবং তিউনিসিয়া (দ্বিপাক্ষিক) এবং উজবেকিস্তান (একতরফা)।
আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইরানোফোবিয়া মোকাবেলা
ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটন ও হস্তশিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক পর্যটন বিপণন ও উন্নয়ন অফিসের মহাপরিচালক, নেতিবাচক প্রচারণাকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন: এক্সপো এবং 'বিজনেস টু বিজনেস' (B2B) বাণিজ্য অনুষ্ঠানের মতো প্রদর্শনীর আয়োজন ইরানের বাস্তবতাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য সবচেয়ে কার্যকর সমাধানগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন: নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক কারণে বিধিনিষেধ আরোপ করা সীমিত সংখ্যক দেশ ছাড়া অন্যান্য পর্যটকরা ইরানি বিমানবন্দরে সহজেই ভিসা পেতে পারেন।
শোজায়ি সম্প্রতি ১২০ টিরও বেশি বিদেশী ট্যুর অপারেটরের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত 'বিজনেস টু বিজনেস' ইভেন্টের কথা উল্লেখ করে বলেন: ইরানে উপস্থিত থেকে এবং সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে তাদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে, এই ট্যুর অপারেটররা বিশ্ববাসীর সামনে ইরানের গতিশীল এবং নিরাপদ পর্যটনের আসল চিত্র তুলে ধরেছে।
ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটন ও হস্তশিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক পর্যটন বিপণন ও উন্নয়ন অফিসের মহাপরিচালক, এইসব অনুষ্ঠান আয়োজনে বেসরকারি খাতের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন: সরকার, সুষ্ঠু নীতি নির্ধারণ এবং পর্যটন কর্মীদের সহায়তার মাধ্যমে, পর্যটন শিল্পকে শক্তিশালী করতে এবং শত্রুদের ষড়যন্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে চায়।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান, তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং প্রাকৃতিক সম্ভাবনার ওপর নির্ভরশীল। ইরান তাই সর্বদা বিশ্ব পর্যটকদের জন্য একটি নিরাপদ এবং আকর্ষণীয় গন্তব্য ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।#
পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।