ইরানের ফারস প্রদেশে মুহাম্মদি গোলাপ বাগানের মনোরম ছবি

ইরানি গোলাপের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। নানা প্রকার গোলাপের মধ্যে এক ধরনের গোলাপ আছে যার নাম গুলে মুহাম্মদি বা মুহাম্মদি গোলাপ। এর ঘ্রাণ খুবই মিষ্টি এবং এ দিয়ে উন্নতমানের পারফিউম ও সুরভিত খাবার তৈরি করে স্থানীয় চাহিদা মেটানো হয় ও রপ্তানিও হয়ে থাকে। ইরানের ফারস প্রদেশের মেইমান্দ অঞ্চলের ফুলের বাগান থেকে মুহাম্মদি গোলাপের পাপড়ি সংগ্রহ ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২১ মে পর্যন্ত চলে।

ফার্স প্রদেশের ফিরোজাবাদ কাউন্টির মেইমান্দ অঞ্চলে মুহাম্মদি গোলাপ জল সংগ্রহের প্রাচীন ঘটনাটি ইরানি পর্যটন ইভেন্টের তালিকায় নিবন্ধিত হয়েছে। পার্সটুডের মতে, মুহাম্মদি গোলাপ ফুল চাষ এবং সুগন্ধি উৎপাদনে মেইমান্দের অনন্য বৈশিষ্ট্য থাকায় প্রতি বছর এই অঞ্চলে অনেক ভ্রমণকারীকে আসতে দেখা যায়। এ সময় অনেক পর্যটক বাগান পরিদর্শন করতে এবং ফুল ও সুগন্ধি কিনতে এই এলাকায় আসেন।

ইরানে মুহাম্মদি গোলাপের ইতিহাস হাজার হাজার বছর আগের। প্রাচীন ইরানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য এই গোলাপ ফুল ব্যবহার করা হত।

 মুহাম্মদি গোলাপ যা পারস্য গোলাপ নামেও পরিচিত এর পাপড়ি গাঢ় গোলাপী এবং তীব্র সুগন্ধযুক্ত।

পারস্য মুহাম্মদি ফুলের রস বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন এবং খাবারে ব্যবহার করা হয়।

মুহাম্মদি গোলাপ পারস্য সংস্কৃতি, কবিতা এবং ঐতিহ্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। হাফেজ এবং সাদির মতো বিখ্যাত ফার্সি কবিরা তাদের কবিতায় গোলাপ ফুলকে অমর করে রেখেছেন যা সৌন্দর্য, প্রেম এবং জীবনের ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির প্রতীক। গোলাপ ফুল থেকে প্রাপ্ত গোলাপ জল,এই কবিদের কবিতায় অনেক জায়গায় দেখা যায়।

পার্সটুডে/এমবিএ/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।