স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ দেশের একটি ইরান; ইমেজিং স্যাটেলাইট এখন আরও বেশি নিখুঁত
(last modified Mon, 19 May 2025 15:18:11 GMT )
মে ১৯, ২০২৫ ২১:১৮ Asia/Dhaka
  • স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ দেশের একটি ইরান
    স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ দেশের একটি ইরান

পার্সটুডে- ইরান ৪ মিটারেরও কম নির্ভুলতার বর্ণালী ইমেজিং উপগ্রহ তৈরির ক্ষমতা অর্জন করেছে। এই খবরের পাশাপাশি ইরানের স্যাটেলাইট সংক্রান্ত আরও কিছু খবর এখানে তুলে ধরা হলো।

ইরানের ইমেজিং স্যাটেলাইট এখন আরও বেশি নিখুঁত

ইরানের যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপমন্ত্রী হাসান সালারিয়া রোববার এক সম্মেলনে বলেছেন, ইরান চিত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে ৪ মিটারেরও কম নির্ভুলতার বর্ণালী ইমেজিং উপগ্রহ তৈরির ক্ষমতা অর্জন করেছে। ২০২৪ সালে কওসার স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের কথা উল্লেখ করে সালারিয়া আরও বলেন, এই স্যাটেলাইটের দ্বিতীয় মডেলটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে এবং শীঘ্রই এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। তিনি পার্স স্যাটেলাইট নির্মাণের কথা উল্লেখ করে বলেন, পার্স-১ স্যাটেলাইটটি ইরানি মহাকাশ গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণ করেছে এবং উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ১৫ মিটার নির্ভুলতায় ছবি তোলার ক্ষমতা ছিল এই স্যাটেলাইটের। গত বছর পার্স-২ স্যাটেলাইটটিও উন্মোচন করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ মিটার এবং ৫ মিটার নির্ভুলতার স্যাটেলাইট নির্মাণাধীন রয়েছে।

ইরানি প্রযুক্তিতে নির্মিত নাহিদ-২ স্যাটেলাইট ৫ বছর কক্ষপথে থাকবে

বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত যোগাযোগ উপগ্রহ নাহিদ-২ পাঁচ বছর ধরে কক্ষপথে অবস্থান করবে।  দীর্ঘ সময় ধরে কক্ষপথে থাকার উদ্দেশ্যে তৈরি উপগ্রহগুলোর জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো- এগুলোর উচ্চতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। মূলত পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে এটা ঘটে। এ কারণে এই স্যাটেলাইটে এমন সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে কোনো সমস্যা ছাড়াই এটি দীর্ঘ সময় ধরে কক্ষপথে অবস্থান করতে পারে। এই স্যাটেলাইটে সংযুক্ত উপকরণগুলো সম্পূর্ণরূপে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। মহাকাশ গবেষণায় স্বনির্ভরতা অর্জনের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

খৈয়াম স্যাটেলাইটের সাহায্যে তৈরি হলো মাজানদারান এবং কারাজের থ্রিডি মডেল

ইরানের মহাকাশ শিল্প উন্নয়নের গবেষক সাজ্জাদ হেইদারিয়ান বলেছেন, খৈয়াম স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে ইরানের মাজানদারান এবং উত্তর কারাজের মতো অঞ্চলের ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করা হয়েছে। কারাজে এই মডেলের নির্ভুলতা প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিটার এবং মাজান্দারানে ৫ মিটার পর্যন্ত। এই ইরানি গবেষকের মতে, গত বছর চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে তিনটি বেশি উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল এবং ইরান প্রায় ২০টি উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে ছিল। হেইদারিয়ান আরও বলেছেন, ২০২২ সালে উৎক্ষেপণ করা খৈয়াম উপগ্রহটি এক হাজার কিলোগ্রামেরও কম ওজনের হালকা উপগ্রহের শ্রেণীতে পড়ে। এই উপগ্রহটি ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং এর ছবিগুলো ১২.৫ বাই ১২.৫ কিলোমিটার লম্বা ও প্রস্থের। প্রতিটি ছবি ১৫৬ বর্গকিলোমিটার জুড়ে ধারণ করা হয়েছে এবং দুটি প্যান ও মাল্টিস্পেকট্রাল ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত। এর ছবিগুলো ১৬-বিটের এবং এগুলোর বাস্তবতা থেকে একশ মিটার স্থানিক পার্থক্য রয়েছে। এছাড়া এগুলো স্টেরিও বৈশিষ্ট্যের।

ইরানের সর্বশেষ স্যাটেলাইট প্রযুক্তি এবং ড্রোন প্রদর্শন

তেহরানে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সংলাপ প্ল্যাটফর্মের সদস্য দেশগুলোর উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীদের দ্বিতীয় বৈঠকের একই সময়ে জ্ঞান-ভিত্তিক সংস্থাগুলোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সংক্রান্ত সর্বশেষ অর্জনের একটি প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পার্ক, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পর্কিত জ্ঞান-ভিত্তিক কোম্পানি এবং তেল ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সক্রিয় জ্ঞান-ভিত্তিক কোম্পানিগুলোও অংশ নিচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের ভার্চুয়াল ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের প্রধান গোলামরেজা জিয়ান শনিবার বলেছেন, ইরানের সর্বশেষ স্যাটেলাইট প্রযুক্তি এবং ড্রোনও এই প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে।#  

পার্সটুডে/এসএ/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।