ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আমেরিকার মুখোমুখি হচ্ছেন: ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট
(last modified Wed, 11 Jun 2025 10:37:14 GMT )
জুন ১১, ২০২৫ ১৬:৩৭ Asia/Dhaka
  • • ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি
    • ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি

পার্সটুডে - একটি আমেরিকান ইনস্টিটিউট, সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচির ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে লিখেছে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ভাষায় কীভাবে কথা বলতে হয় তা জানেন।

আমেরিকান ইনস্টিটিউট "ওয়াশিংটন" এক প্রতিবেদনে লিখেছে: ট্রাম্পের শব্দভাণ্ডার ব্যবহার করে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেবল প্রেসিডেন্ট এবং তার ভোটারদের ভাষায় কথা বলছেন না, বরং ইরানের পক্ষে দাবার গুটি পরিবর্তন করার জন্যও দক্ষতার সাথে চেষ্টা করছেন।

পার্সটুডে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইংরেজি ভাষায় খুবই সাবলীল এবং আমেরিকান রাজনৈতিক ভাষার গভীরতা উপলব্ধি করেন উল্লেখ করে লিখেছে, ট্রাম্পের যোগাযোগের ধরণ, যেমন মাঝে মাঝে বড় অক্ষরের ব্যবহারের মাধ্যমে আরাকচি নিজেকে এমনভাবে একজন বিচক্ষণ ও দক্ষ কূটনীতিক হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন যাতে তিনি তেহরানের জন্য কাঙ্ক্ষিত ও প্রয়োজনীয় চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে পারেন।

ইরানি কূটনীতিকরা ট্রাম্পের কথা বলার ধরণ এবং আলোচনার ধরণ সাবধানতার সাথে অধ্যয়ন করেছেন বলে মনে হচ্ছে; এতে কোন সন্দেহ নেই যে তেহরান সম্প্রতি শিখেছে যে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা কীভাবে পরিচালনা করেছে এবং কীভাবে অযৌক্তিকভাবে এবং ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে আক্রমণ না করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার অবস্থান থেকে পিছু হটানো যায়। 

ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে: ১২ এপ্রিল পরোক্ষ ইরান-মার্কিন আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে, আরাকচি পদ্ধতিগতভাবে ট্রাম্প এবং তার ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য একটি কৌশল অবলম্বন করেছেন।

প্রতিবেদনের অন্য একটি অংশে বলা হয়েছে যে আরাকচি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দর কষাকষির কৌশলকেও কাজে লাগানোর চেষ্টা করে ইরানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য "ট্রিলিয়ন ডলারের সুযোগ" বলে অভিহিত করেছেন।

ট্রাম্পের ভাষায় আরাকচির কথা বলার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন যে "তেহরান ২০১৫ সালের মতো আরেকটি চুক্তি চায় না কারণ জেসিপিওএ এখন আর যথেষ্ট ভালো নয় এবং ২০১৮ সালে জেসিপিওএ থেকে ট্রাম্পের সরে যাওয়া প্রমাণ করে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরেকটি জেসিপিওএ চান না।"#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।