ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানালো পাকিস্তান
পেজেশকিয়ান: ইরান ও পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে কোন দূরত্ব নেই
-
চীনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ইরানের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
পার্সটুডে-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং গাজায় তাদের অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার, চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) ২৫তম শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধ অব্যাহত রাখার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পার্সটুডে অনুসারে, শাহবাজ শরীফ বলেছেন, "আমরা সাংহাই সংস্থার আমাদের প্রতিবেশী, ভ্রাতৃপ্রতিম এবং সহযোগী দেশ, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শাসক গোষ্ঠীর আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাই।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে আমরা আমাদের প্রতিবেশী এবং সাংহাই সংস্থার অন্যান্য সদস্যদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি এবং এই ধরনের বেপরোয়া এবং আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ কখনই গ্রহণ করব না। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শাহবাজ শরীফ ইসরায়েলের অপরাধ এবং ফিলিস্তিনিদের রক্তপাত অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষা এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট : ইরান ও পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই
অন্যদিকে, সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে এক বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজিশকিয়ান বলেছেন যে আমরা মনে করি দুই দেশের জনগণের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই। একইসঙ্গে বলেছেন, আমরা সকল ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার ও গভীর করতে এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণের পথে বাধা দূর করতে আগ্রহী।
বন্যা দুর্যোগে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির কারণে পাকিস্তানের সরকার ও জনগণের প্রতি আবারও সহানুভূতি প্রকাশ করে পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দুই জাতি এবং এই অঞ্চলের জাতির জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, এবং বর্ধিত প্রশান্তি আনতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সাথে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তার বক্তৃতার অন্য অংশে, ইরানের প্রেসিডেন্ট গাজায় ইহুদিবাদী সরকারের অপরাধের ধারাবাহিকতা এবং তা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন: "আমি অবাক হয়েছি যে বিশ্ব নিজেদেরকে সভ্য বলে দাবি করে, মানবাধিকার ও শান্তি রক্ষা করে, তারা কীভাবে এই অপরাধের মুখে কেবল নীরবই থাকেনি, বরং সরঞ্জাম ও অস্ত্র পাঠিয়েও তাদের ধারাবাহিকতাকে সমর্থন করে। মানুষকে পানি, খাদ্য ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা এবং শিশু, নারী ও পুরুষদের ক্ষুধার্ত অবস্থায় মারা যাওয়া একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং অমানবিক।"
পার্সটুডে/এমবিএ/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।