ইরানের বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ ওয়ায়েজ তাবাসির ইন্তেকাল
(last modified Fri, 04 Mar 2016 12:00:05 GMT )
মার্চ ০৪, ২০১৬ ১৮:০০ Asia/Dhaka
  • ইরানের বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ ওয়ায়েজ তাবাসির ইন্তেকাল

৪ মার্চ (রেডিও তেহরান): ইরানের বিশিষ্ট আলেম ও ইমাম রেজা (আ.)’র পবিত্র মাজারের তত্ত্বাবধায়ক আয়াতুল্লাহ ওয়ায়েজ তাবাসি ইন্তেকাল করেছেন। শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা নিয়ে তিনি এক সপ্তাহ আগে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ (শুক্রবার) সকালে ৮০ বছর বয়সে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব হওয়ার পর থেকেই তিনি আস্তানে কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। ইমাম রেজা (আ.)’র মাজারসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ওই ফাউন্ডেশনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) নিজে আয়াতুল্লাহ তাবাসিকে ওই পদে নিয়োগ দিয়ে গিয়েছিলেন।

শিয়া মাজহাবের অষ্টম ইমাম- ইমাম রেজা (আ.)’র মাজার জিয়ারত করতে প্রতি বছর ইরানসহ সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কোটি কোটি মানুষ মাশহাদ সফর করেন। ৮১৮ খ্রিস্টাবে আব্বাসিয় খলিফা মামুন বিষপ্রয়োগ করে ইমাম রেজা (আ.)কে শহীদ করেছিল।

ইরানের খোরাসান রাজাভি প্রদেশের গভর্নর আলীরেজা রাশিদিয়ান জানিয়েছেন, আগামীকাল (শনিবার) আয়াতুল্লাহ তাবাসির জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হবে। সিনিয়র কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের মানুষ জানাযায় অংশগ্রহণ করবেন। আয়াতুল্লাহর মৃত্যুতে খোরাসান রাজাভি ও দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ (শুক্রবার) ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদ এক বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ তাবাসির মৃত্যুতে দেশের জনগণের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে। বিবৃতিতে ইমাম খোমেনীর চিন্তাধারা সমুন্নত রাখা এবং শিয়া জিয়ারতকারীদের প্রতি আন্তরিকতাপূর্ণ আতিথেয়তার জন্য আয়াতুল্লাহ তাবাসিকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ আয়াতুল্লাহ তাবাসির মৃত্যুতে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ও দেশের জনগণকে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানিও মরহুম ইমাম খোমেনীর এই ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

আয়াতুল্লাহ তাবাসি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে মাশহাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের পর মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় কেন্দ্রে অধ্যয়ন ও গবেষণা শুরু করেন।#

রেডিও তেহরান/এমআই/৪

ট্যাগ